৪৩-এ ও অবিবাহিত। পরিবারের তাঁর প্রতি কেমন প্রতিক্রিয়া? সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী তানিশা মুখোপাধ্যায়। পরিবারের ওপর থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর ওপর কখনো চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়নি, নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রবীন অভিনেত্রী তনুজার মেয়ে তানিশা। অভিনেত্রী কাজলেওর বোন তিনি। তাঁর বাবা প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সোমু মুখোপাধ্যায়।
জুমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তানিশা জানিয়েছেন, দারুণ এবং আশীর্বাদপ্রাপ্ত পরিবার পেয়েছেন তিনি। তানিশার কথায়, আমার পরিবার দারুণ। তাঁদের কারণেই আমি এক অসাধারণ জীবনযাপন করতে পারছি। আশীর্বাদপ্রাপ্ত এবং অসাধারণ জীবন পেয়েছি।
'লাইফ ইজ শর্ট'এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তানিশা। তাঁর কথায়, মা তনুজা তাঁকে বার বারই বলে এসেছেন জীবন অনেক ছোট। তাকে মূল্য দেওয়া উচিত। তাই জীবনের মূল্যবোধকে নিয়ে এই ('লাইফ ইজ শর্ট') ছবিটা করেছেন তিনি। এমনকি তাঁর ঠাকুমাও তাঁকে একই কথা বলতেন। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে বাঁচতে। কারণ জীবন সত্যিই খুব ছোট। অভিনেত্রী শর্ট ফিল্মের পরিচালক বিক্রম যখন এই শর্ট ফিল্মের নাম তাঁর প্রথম তাঁর কাছে আসে, তানিশার মন্তব্য ছিল, আমরা তো সব সময়ই একথা বলে থাকি। তবে কোথাও কাজে লাগানোটা জরুরি। এটি সর্বত্র প্রযোজ্য, এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
৩৯ বছর বয়সে ‘ডিম্বাণু সংরক্ষণ’ করেছেন অভিনেত্রী। সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন. ৩৩ বছর বয়সে ডিম্বাণু সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা তাঁর মাথায় এসেছিল। সেই সময় তিনি তাঁর চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন.. (যে এখন তাঁর ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছে)। এই চিকিৎসকই সেই সময় তাঁকে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে বারণ করেছিল। অভিনেত্রী কথায়, ‘যখন আমার সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকবে তখন তিনি আমাকে এটা করার পরামর্শ দিয়েছিল। এটা ব্যক্তিগত পছন্দ। দত্তক নেওয়ার মতো অনেক অপশন রয়েছে। অনেক মানুষ এই বিষয় কথা বলে করেও থাকে। মেয়েদের সন্তান না-ই হতে পারে। তোমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য় সেটা না-ও হতে পারে। বিয়ে না করা, সম্পর্কে না থাকা এবং কোনো পুরুষ তোমার পাশে না-ও থাকতে পারে’।
‘Sssshhh...’ ছবি দিয়ে ২০০৩ সালে বলিউডে ডেবিউ করেন তানিশা। নীল অ্যান নিকি, সরকার, ট্যাঙ্গো চার্লি এবং ওয়ান টু থ্রি-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিগ বসের ৭ নম্বর সিজেনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। খতরো কে খিলাড়ি ৭ -এ ও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাঁকে।