ছয় এবং সাতের দশকে ধর্মেন্দ্রর রঙিন মেজাজের কথা সুবিদিত ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। জানতেন তাঁর অনুরাগীরাও। কান পাতলেই শোনা যেত পর্দার বাইরে তাঁর রোম্যান্সের নানান কিসসা। তবে বরাবরই নিজের জীবন নিয়ে কোনওরকম লুকোছাপা করেননি তিনি। সেইজন্যই অচিরেই আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসীর প্রিয় তারকা হয়েছিলেন বলিউডের এই 'হি ম্যান'। মধ্যে আশি ছুঁয়ে আজও ধর্মেন্দ্রও জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয় যেকোনও নয়া প্রজন্মের বলি-তারকার কাছে। তবে এই ধর্মেন্দ্রকেই তাঁর সঙ্গে ফ্লার্ট করার জন্য সপাটে চড় মেরেছিলেন তনুজা!
২০১৪ সালে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা ফাঁস করেছিলেন স্বয়ং তনুজা। সেটা ১৯৬৫ সাল। দুলাল গুহর পরিচালনায় 'চাঁদ অওর সূরজ' ছবির শুটিং চলেছে। ছবির নায়ক-নায়িকা যথাক্রমে ধর্মেন্দ্র এবং তনুজা। ততদিনে এই দুই তারকা পরস্পরের দারুণ বন্ধু। গলায় গলায় ভাব তাঁদের। একসঙ্গে আড্ডা মারা থেকে পানের আসর জমিয়ে মাৎ করেছেন। ইতিমধ্যেই নিজের প্রথম স্ত্রী প্রকাশ-এর সঙ্গে তনুজার আলাপ করিয়ে দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। বড় ছেলে সানির বয়স তখন বছর পাঁচেক। মেয়ে লালির বয়স তখন মেরেকেটে মাস ছয়েক।
একদিন শুটিং চলার ফাঁকে তনুজা লক্ষ্য করলেন যে ধর্মেন্দ্র তাঁর সঙ্গে সমানে ফ্লার্ট করে চলছেন। বুঝতে পেরে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নিজেকে আর সামলাতে পারেননি। 'নির্লজ্জ' বলে ধর্মেন্দ্রকে জোরে থাপ্পড় কষিয়ে দেন। প্রথমে থতমত খেয়ে গেলেও পরমুহূর্তেই তনুজার হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন বলিউডের সুপারস্টার। তবুও তনুজার রাগ পড়ছে না দেখে ধর্মেন্দ্র অনুরোধ করেছিলেন তনুজা যেন রাগ না করে। বরং তাঁকে যেন নিজের ভাই বানিয়ে নেন। তনুজার জবাব ছিল নিজের দাদা জয়দীপ-কে নিয়েই কাজ চলে যাবে তাঁর। অন্য কাউকে ভাই বানানোর প্রয়োজন নেই তাঁর। তবুও হাল ছাড়েননি 'গরম ধরম'। শেষপর্যন্ত বহু অনুরোধের শেষে ধর্মেন্দ্রকে ক্ষমা করে তাঁর কব্জিতে রাখি পরিয়েছিলেন তনুজা। শান্ত হয়েছিল পরিবেশ। এরপর অবশ্য 'বাহারে ফিরভি আয়েঙ্গ', 'ইজ্জত', 'দো চোর' এর মতো সুপারহিট সব ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন এই জুটি।