তথাগত রায়ের একটা টুইট করে মঙ্গলবার থেকে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির নায়িকা প্রার্থীদের ‘নগরীর নটী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা, শুধু তাই নয় সেই টুইটে শ্রাবন্তী-তনুশ্রী-পায়েলদের বিরুদ্ধে পার্টির টাকায় ‘কেলি করবার’ অভিযোগও আনেন তিনি। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শ্রাবন্তী আগেই মুখ খুলেছেন, এবার জবাব দিলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী।
বুধবার টুইটারের দেওয়ালেই তথাগত রায়ের কটূক্তির তীব্র নিন্দা করেন শ্যামপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের মতো কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করার পালটা হুমকিও দেন তনুশ্রী।
টুইটারের দেওয়ালে তনুশ্রী লেখেন- আত্মসম্মান সচেতন নারী হিসাবে আমি এই টুইটটা লিখছি। গতকাল নারীদের নিয়ে একটি অসংবেদনশীল মন্তব্য করা হয়েছে। প্রয়াত সুষমাজি, স্মৃতিজি-র মতো মহান নেত্রীও এই বিজেপি পরিবারে ছিলেন বা আছেন।এই ধরণের মন্তব্য মেয়েদের জন্য অসম্মানজনক, যাঁরা আজীবন সম্মান নিয়ে কাজ করেছে'। তথাগত রায় বিরূপ মন্তব্য করলেও দল কিন্তু নারীদের সম্মান দেয় কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি তনুশ্রী।
তিনি আরও লেখেন- পাবলিক প্ল্যাটফর্মে তথাগত রায়ে এই ধরণের মন্তব্য আমাদের তিনজনকে শুধুই অপমানিত করেনি, আহতও করেছে। পার্টির কর্মকর্তা হিসাবে আমি নিশ্চিত এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আভ্যন্তরীণ আলোচনা করব কারণ আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিজেপি-র মতাদর্শকে সম্মান করে এসেছি, এখনও করি। বিশ্বাস করি, নীতিগত দিক থেকে এখনও বিচ্যুত হয়নি’। এরপরই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষকে ট্যাগ করে তনুশ্রী। সব শেষে লেখেন- ভারত মাতা কি জয়।
শ্রাবন্তী গতকালই এক সংবাদ চ্যানলে তথাগত রায়ের উদ্দেশে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বলেন, ‘আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে, আমরা ভোটের টাকায় বেড়িয়েছি বা কেলি করেছি! যদি থাকে, তা হলে প্রমাণ দিয়ে তবেই কথা বলুন।’ তথাগতর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন পায়েল সরকারও।