বাংলা সিনেমার অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র তাপস পাল। অনেকে বলেন রাজনীতিতে না এলেই ভালো করতেন প্রয়াত নায়ক। আলটপকা মন্তব্যের বড় খেসারত দিয়েছেন তিনি, না হলে ‘দাদার কীর্তি’র সরল সাদাসিধা ছেলেকেটা ভালোবাসেনি এমন বাঙালি সিনেপ্রেমী আছে নাকি? আরও পড়ুন-‘আমি তো কাপুরুষ, ভীতু, ধান্দাবাজ, ধর্ষকদের প্রতিনিধি..’, আরজি কর ইস্যুতে বোমা ফাটালেন তথাগত
বাবার পথে হেঁটে অভিনয়কেই কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তাপস পালের একমাত্র কন্যা সোহিনী। একটা সময় সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অ়ঞ্জন দত্তর মতো প্রথম সারির পরিচালকদের ছবিতে অভিনয় করেছেন সোহিনী। কিন্তু এখন আলোকবৃত্ত থেকে অনেকদূরে। কোথায় আছেন সোহিনী? কেন টলিপাড়া থেকে উধাও তিনি? নিজের মুখেই দিলেন সেই প্রশ্নের জবাব।
সম্প্রতি প্রভাত রায়ের আত্মজীবনীর লঞ্চে এক মঞ্চে পাওয়া গিয়েছিল টলিউডের বহু তারকাকে। প্রভাত রায়ের বিশেষ আমন্ত্রণে সেখানে পৌঁছেছিলেন তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী ও কন্যা সোহিনী। কালো রঙা অফ শোল্ডার ওয়ানপিসে সুন্দরী সোহিনী।
আম অর্পিতা নামের এক ইউটিউবারের মুখোমুখি হয়ে তিনি কামব্যাক প্রসঙ্গে বলেন, 'বাবা হঠাৎ করে চলে গেলেন…তখন বম্বেতে একটা কাজ করছিলাম। সেইসময় কোডিভ হল, আমি চলে এলাম। বলে না, গ্রিফের সময়টা আমার স্বাভাবিক লোকেদের থেকে একটু বেশিই লাগল আমার। আমি জানি না কাল কী হবে, তবে ওই বলে না যে নেভার সে নেভার! তবে অভিনয় করতে খুব ভালোবাসি'।
তাপস পালের মৃত্যুর পর কাছের মানুষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মা-মেয়ে। এদিনও যেন খানিক অভিমান ঝরে পড়ল সোহিনীর গলায়। অভিনয়ে ফেরার প্রসঙ্গে আরও বললেন, ‘ওটা আমার স্কিলসেটে নেই…এটা গুলবাজি নয় তবে মার্কেটিং করাটা আসে না’। হ্যাঁ, সোহিনী আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন কাজের সুযোগ আর সেভাবে আসেনি কারণ নিজের পিআরটা তিনি করতে পারেন না।
২০০৪ সালে অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ইংরেজি ছবি 'বো ব্যারাকস ফরএভার' দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় সোহিনীর। ২০০৯ সালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত 'জ্যাকপট' ছবিতে এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা মিলেছিল সোহিনীকে। 'একটি মেয়ে তমসী', 'অটোগ্রাফ'-এর মতো ছবিতেও কাজ করেছেন এই তারকা কন্যা। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে গিয়ে 'চিড়িয়াঘর', 'পার্টনার্স', 'আপকে আ জানে সে'-র মতো সিরিয়ালে কাজ করেন তাপস-কন্যা। কিন্তু এখন অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন সোহিনী। ফিরবেন তিনি? উত্তরটা সময় দেবে!