দীর্ঘ দিনের সঙ্গী, সহকর্মী। জীবনের ওঠাপড়ায় ছিলেন পাশে। ব্যক্তিজীবনের টানাপড়েনকে ছাপিয়ে গিয়েছে বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্বের শুরু কয়েক দশক আগে। স্বামীর অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। দিন গুনছিলেন তাঁর ফিরে আসার। কিন্তু তিনি আর ফিরলেন না। সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। দুঃসংবাদ পেতেই ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী সন্ধ্যা রায়। গলা বুজে এলো তাঁর। কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রবীণ অভিনেত্রী।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে সন্ধ্যা যা বললেন
'জানি না আজ কী বলব। আজ গুছিয়ে কথা বলার দিন নয়। অন্য এক দিন যোগাযোগ করা হলে হয় তো অনেক কিছু বলতে পারব। ওঁকে নিয়ে কথা বলতে গেলে শেষ হবে না। অনেক স্মৃতি আছে। ২৫ বছরে তো কম স্মৃতি তৈরি হয়নি। ওঁকে শেষ বার দেখতে যাব কি না, জানি না। ও অনেক কিছু করেছে। আমি শুধু সঙ্গী মাত্র।'
সোমবার সকালে দেবশ্রী রায়কে ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্ধ্যা। অভিনেত্রীর কথায়, 'সন্ধ্যাদি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তরুণদাকে ওই অবস্থায় দেখতে ওঁর খুব কষ্ট হবে। মানুষটা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন। আজ ওঁর পাশে থাকব আমি। তরুণদা আর সন্ধ্যাদি আমার মা-বাবার মতো।'