উডবার্নে স্থানান্তরিত করা হয়নি পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। এখনও এসএসকেএম হাসপাতালের সিসিইউ-তেই রয়েছেন নবতিপর পরিচালক। চিকিৎসকদের কথায়, এখন আগের চেয়ে অনেকখানি স্থিতিশীল হলেও বিপদমুক্ত নন ‘দাদার কীর্তি’র স্রষ্টা। একটু সুস্থ হতেই পরিচালকের মন জুড়ে ছবির চিন্তা ঘর করেছে। কারণ তিনি তো মনেপ্রাণে ফিল্মমেকার।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) তরুণ মজুমদারের এন্ডোসকপি করা হয়, সেই রিপোর্ট দেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিচালকের রক্তচাপ একটু নীচের দিকে রয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের সবদিক খতিয়ে দেখেই তবেই পরিচালককে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড।
তরুণ মজুমদারের শ্বাসনালীতে অস্ত্রোপচার হওয়ায় কথা বলা বন্ধ, তবে হাতে লিখে মনেরভাব প্রকাশ করছেন তিনি। জানা গিয়েছে তিনি লিখেছেন, ‘ছবি কিন্তু হবেই’। পরিচালকের কিডনি ও ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। গত দু-দশকেরও বেশি সময় ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তরুণ মজুমদার। প্রায় দু-সপ্তাহ আগে অতীতের এই সমস্যা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
বর্ষীয়ান পরিচালকের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়ের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন তরুণ মজুমদার।
৯১ বছর বয়সী এই পরিচালক দিন কয়েক আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকি করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। অনীক দত্তের অপরাজিত'র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এ হাজির ছিলেন, অনীকের ছবি দেখে জাহির করে মুগ্ধতা। আপতত