আগের চেয়ে অনেকখানি ভালো আছেন ‘দাদার কীর্তি’ খ্যাত পরিচালক। মঙ্গলবার বিকালে বর্ষীয়ান পরিচালকের এমআরআই করা হয়েছিল, সেই রিপোর্টে কোনওরকম চিন্তার কারণ মেলেনি। এদিন তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে। টানা ১০ দিনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি থাকবার পর তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দু-দিন আগেই রাইলস টিউব খুলে দেওয়া দেওয়া হয়েছে, তবে এখন তরল খাবারই খাচ্ছেন নবতিপর পরিচালক। শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়ার পরিস্থিতি নেই তাঁর। এই মুহূর্তে সিসিইউ-তে থাকলেও যে হারে তাঁর শারিরীক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন এসেছে. তাঁকে সাধারন ওয়ার্ডে দেওয়া হতে পারে আগামী কয়েকদিনে।
গত কয়েকদিনে তরুণ মজুমদারের তন্দ্রাচ্ছন্নভাব অনেকখানি কেটেছে। হাতে লিখে কথা বলবার চেষ্টা করছেন পরিচালক। ফুসফুসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিডনির সমস্যাও কিছুটা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।
গত দু-দশকেরও বেশি সময় ধরেই কিডনির সমস্যা রয়েছে তরুণ মজুমদারের। সম্প্রতি তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। আচ্ছন্নভাব কাটছিল না তাঁর, যা চিন্তা বাড়িয়েছিল চিকিৎসদের। স্টেরয়েড দিয়ে কেটেছে আচ্ছন্নভাব, এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় যেন নার্ভের কোনও ক্ষতি না হয় তা খেয়াল রাখছেন নিউরোলজিস্ট। বর্ষীয়ান পরিচালকের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়ের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।