অতিসংকটজনক বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুদার। নতুন করে শরীরে দেখা গিয়েছে ইনফেকশন, স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ায় পরিচালককে ভেন্টিলশনে দেওয়া হয়েছে, খবর এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে। এদিন পরিচালকের রক্তচাপ কমে গিয়েছিল, সেটি আপতত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, পরিচালকের দু’টি ফুসফুসেই সংক্রমণ রয়েছে। মূত্রের পরিমাণ কমেছে। তবে এখনও সংজ্ঞা রয়েছে তাঁর।
মাঝে মধ্যে তাঁর ব্রেন এনকেফেলোপ্যাথি হচ্ছে (মস্তিষ্কের কার্যক্রিয়ার অবনতি), যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় দেখতে এসেছিলেন নবতিপর পরিচালককে। তবে সিসিইউতে জাননি। তরুণ মজুমদারের এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করে থমথমে মুখে বেরিয়ে যান। জানান, ‘চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন, আপনারা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করুন’।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই সেকেন্ডারি ইনফেকশন হওয়ায় পরিচালকের স্বাস্থ্য়ের আচমকা অবনতি হয়। ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকেই এগোচ্ছিলেন নবতিপর পরিবার। গত শুক্রবার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল, দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন তরুণবাবু। শনিবার থেকে ফের বিগড়ে যায় পরিস্থিতি।
বর্ষীয়ান পরিচালকের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়ের মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
গত ২১শে জুন জানা গিয়েছিল কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘দাদার কীর্তি’র স্রষ্টা। ৯১ বছর বয়সী এই পরিচালক দীর্ঘ দু-দশক ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। কিডনির সমস্যা নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তরুণ মজুমদারের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন টলিপাড়া।