মহালয়ার সকাল এবং রেডিয়োতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ এবং মহিষাসুরমর্দিনী শোনা এখন বাংলার, বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। দুটোই যেন সমার্থক, একটা ছাড়া আরেকটা কল্পনাও করা যায় না। আর এমন দিনে, দেবীপক্ষের সূচনার ঠিক মুখেই একটি বিশেষ দাবি জানিয়ে বসলেন বিজেপির তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সম্প্রীতির বাংলার নির্দশন হিসেবে কী করতে বললেন?
কী বললেন তরুণজ্যোতি?
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এদিন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে সম্প্রীতির বাংলার নিদর্শন তুলে ধরার বার্তা দেন মহালয়ার দিনে। সেই জন্য কী করতে হবে? মসজিদের মাইকে মহিষাসুরমর্দিনী বাজাতে হবে, তাঁর কথা অনুযায়ী।
এই বিষয়ে তরুণজ্যোতি লেখেন, 'ভেঙে যাক ধর্মের সব বেড়া, মসজিদের মাইকেও বেজে উঠুক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী, সম্প্রীতির বাংলায় আমরা দুর্গাপুজোর মণ্ডপে যদি আযান শুনতে পারি তাহলে এটাতে কারো আপত্তি থাকার তো কথা নয়।'
কে কী বলছেন?
তরুণজ্যোতি এমন মন্তব্য করার পরই তাঁকে রীতিমত একহাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছে পোস্টের কমেন্ট বক্সে। এক ব্যক্তি লেখেন, 'সম্প্রীতির বাংলায় দুর্গা পূজার কোন মণ্ডপে আজান শুনেছেন? সম্প্রীতির বাংলায় এখানে হিন্দু - মুসলিম দুই সম্প্রদায় অনেক জায়গায় একই সাথে পুজো করে। ডাক্তারদের নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করলেন ফল হল শূন্য, সেই জন্যই কি আবার হিন্দু - মুসলিম বিভেদের অ্যাজেন্ডায় ফিরে যাচ্ছেন?' আরেকজন লেখেন, 'দুর্গাপুজো বাঙালির, বিহারিদের এখানে কোনো বক্তব্য থাকতে পারে না। বহিরাগত।' তৃতীয় জন লেখেন, 'ভেঙে যাক ধর্মের সব বেড়া, আসুন, এই সম্প্রীতির বাংলায় আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে গো ব্যাক বলে দূরে সরিয়ে দিই।'
আরও পড়ুন: ৬৬ বছরে এসে ২৮ এর যুবকের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম! প্রেমিকের হাত ধরে কোথায় ছুটি কাটাচ্ছেন ম্যাডোনা?