সম্প্রতি সইফ আলি খানের বাড়িতে এক আততায়ী ঢুকে পড়ে। শুধু তাই নয়, অভিনেতাকে রীতিমত আঘাত করেছে সেই ব্যক্তি। ছুরি গেঁথে যায় তাঁর পিঠে। করতে হয় অপারেশন। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি এই 'গল্প' বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: নটীর জীবনের নিপাট কোলাজ 'বিনোদিনী'! সকলকে ছাপিয়ে গেলেন রুক্মিণী
সইফের আক্রমণের ঘটনা নিয়ে কী লিখলেন তসলিমা?
এদিন ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন সইফ আলি খানকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তাঁর পোস্ট থেকেই স্পষ্ট তিনি এই ঘটনা এবং সেই সংক্রান্ত যা যা তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাতে বিশ্বাস করছেন না। তসলিমা এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'সইফ আলি খানের কোনও গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে , তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত এবং ধনাঢ্য মানুষদের বিল্ডিং-এ কোনও সিকিউরিটি গার্ড নেই, বিশ্বাস করা যায় না।'
বাংলাদেশি লেখিকা এদিন আরও লেখেন, 'সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল। হেঁটে ১১ তলার সিঁড়ি পার হল, গেট পার হল। না দারোয়ান, না সইফের বাড়ির কোনও কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকাল না। সইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হল সাত বছর বয়সী তৈমুরকে। তাও আবার অটোয়। করিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়। সইফের মেরুদন্ডের খুব কাছে নাকি আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিল ছুরি। অস্ত্রোপাচার হয়েছে দীর্ঘ ছঘণ্টা, স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন। যদিও চারদিন পর সইফকে দেখে মনে হয়নি তাঁর আদৌ কিছু হয়েছে।' তিনি পরিশেষে লেখেন, 'খুব অদ্ভুত লাগছে যে সইফ আলি খান জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সে রাতে, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অপরাধী কি না। তিনিই জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু।'
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'ঘটনাটি এতটা ঘোলাটে নয় যতটা ঘোলাটে করা হচ্ছে। খুব সম্ভব সইফ আলির কাছের কেউ তাকে ছুরিকাহত করেছে। খুব কাছের কেউ।' আরেকজন লেখেন, 'সব কয়টা প্রশ্নই মাথায় এসেছিল। সম্ভবত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে একটা ধরপাকড় শুরু করার একটা রাস্তা বা অজুহাত তৈরি করা হল।' তৃতীয়জন লেখে, 'আজকাল তো এঁর সিনেমা নেই, কেউ ডাকেও না। অন্তত এসবের চক্করে একটু হলেও খবরে আসার সুযোগ হল।' চতুর্থ জন লেখেন, 'পুরো ব্যাপারটাই কেমন সাজানো মনে হচ্ছে। অতি দূর্বল চিত্রনাট্য। বাড়িতে অতগুলো গাড়ি। কেউ ড্রাইভিং জানে না? ড্রাইভাররা সবাই নাকি সুইচ অফ করে ঘুমোচ্ছিল। আর তাদের ঘুম থেকে না তুলে রাস্তায় গিয়ে অটো খুঁজছে? সুপারস্টারের বাড়ি। তার উপরে আবার রাজ পরিবার। তার বাড়ির সিকিউরিটি এত ঢিলে ঢালা? সইফ আলী এত তাড়াতাড়ি আবার ভালোও হয়ে গিয়ে অটো ড্রাইভারের সাথে তার বাড়িতে দেখা করতেও চলে গেল?' বলাই বাহুল্য এই পোস্টে অধিকাংশ পোস্টদাতাই লেখিকাকেই সমর্থন করেছেন।