‘১ মাস ১ দিন হল, এবার উৎসবে ফিরুন’, নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে। আর তারপর বাংলার একাংশ মানুষের মনে ক্ষোভ জন্ম হয়েছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, মমতার করা এহেন মন্তব্যর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না অনেকেই। নানাভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ট্রোল করা হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে মিম।
এরই মাঝে একটি কার্টুন খুব ভাইরাল অনলাইনে। যেখানে শকুনকে পরানো হয়েছে নীল-সাদা শাড়ি। পায়ে হাওয়াই চটি। আর লেখা ‘উৎ-শবে ফিরুন’। ভাববেন না বানান ভুল। এখানে শব অর্থাৎ মৃতদেহকে নিয়ে উৎসব বোঝানো হচ্ছে।
এটাই শেয়ার করে নিলেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখলেন, ‘কার্টুন যে কী পাওয়ারফুল (শক্তিশালী) হতে পারে।’ আরজি কর নিয়ে অবশ্য সেভাবে কোনও পোস্ট করেননি বাংলাদেশের নাগরিক, বর্তমানে ভারতের বাসিন্দা তসলিমা। তবে একটি পোস্টে তাঁকে উল্লেখ করতে দেখা গিয়েছিল (১৪ অগস্ট রাত দখলের পরে), বাংলাদেশে হাসিনার সরকার ফেলা সহজ হলেও, তার মতো করে বাংলা থেকে মমতাকে উচ্ছেদ সহজ হবে না। এরপর অনেকেই দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোষামোদ’ করছেন তিনি।
এরপর একটি পৃথক পোস্টে তসলিমা স্পষ্ট করে দেন, মমতার প্রতি আলাদা করে তাঁর ‘আনুগত্য’ দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না! কারণ তিনি বাংলায় থাকতে পারেন না। তাঁর কলকাতায় পা রাখারও অধিকার নেই। বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন করেও সাড়া পাননি।
আরও পড়ুন: উই ওয়ান্ট জাস্টিস ব্যানারের সামনে চটুল গানে নাচছে স্বল্পবসনা নারী, ভিডিয়ো শেয়ার করলেন শ্রীলেখা
তিনি লিখেছিলেন, ‘ওখানের বিভিন্ন সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারি না। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে অনেকগুলো খোলা চিঠি লেখার পরেও তিনি ভ্রুক্ষেপ করেননি। তাঁর ঔদ্ধত্য এবং অহংকার সীমাহীন, একজন নির্বাসিত নিরীহ বাঙালি লেখকের জন্য নারী হয়ে, বাঙালি হয়ে তাঁর সামান্য বিবেচনাবোধ, সামান্য সহানুভুতি বা সহমর্মিতা নেই। সিপিএমের কিছুই তিনি মানেন না, কিন্তু সিপিএমের অমানবিক তসলিমা বিতাড়ন তিনি খুব মানেন।’
আরও পড়ুন: বাড়িতে থেকেই আরজি কর নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ আদৃত-কৌশাম্বির, ভিডিয়ো দিল ফ্যাননপেজ
সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল তাঁর লেখা একটি গল্প থেকেও সিরিয়াল বানানোর অনুমতি দেননি আকাশ ৮-কে। হুমকি দিয়ে চিরকালের জন্য এর প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল। এটি সম্প্রচারিত হলে, তিনি রয়্যালটি বাবদ কিছু টাকা পেতেন। তাঁর দাবি, ‘এমন বড় সর্বনাশ করেছিলেন কিছু ইসলামী মৌলবাদীকে খুশি করার জন্য। আর কোনও কারণ নেই।’