মহালয়ার আগমনে যখন পশ্চিমবাংলা জুড়ে পুজোর আবহ, তখন পড়শি বাংলাদেশের হিন্দুরা ভীত-সন্ত্রস্ত। একাধিক জায়গায় মূর্তি ভাঙার খবর আসছে। সঙ্গে পুজো আয়োজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় উদ্যোক্তাদেরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুজো আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে বলেও নাকি হুমকি দিচ্ছে একাংশ।
এরই মাঝে মূর্তি ভাঙার ছবি উঠে এল তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক ওয়ালে। তাঁর শেয়ার করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ‘পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেও শেষ রক্ষা হল না, এবার রাতের আঁধারে ঢাকা জেলার ধামরাই থানার দক্ষিণ পাড়া সার্বজনীন কালী মন্দিরে কার্তিক ও দুর্গা প্রতিমার হাত এবং গণেশ প্রতিমার শুঁড় ভাংচুর।’ তারিখ হিসেবে বলা হয়েছে, ৪ অক্টোবর মধ্যরাত। এই পোস্টটি শেয়ার করে তসলিমা লেখেন, ‘যে মুসলমানদের মূর্তি পাহারা দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল, তারাই এসে মূর্তি ভেঙ্গে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মোটা বলে কাজ পেতেন না টলিউডে! এবার ‘মিঠিঝোরা’য় এ কেমন চরিত্র পেলেন অনামিকা
আরেকটি পোস্টও শেয়ার করেছেন বাংলাদেশের লেখিকা। যা বাকেরগন্জ বরিশালের শ্যামপুরের। সেখানে একজন দাবি করেছেন, তাঁর বাড়ির দেবীমূর্তির উপর হাত পড়েছে। ছবিতে দেখা গেল, দুর্গা ঠাকুর থেকে কার্তিক, কারওই মাথা নেই ধরের সঙ্গে। ছত্রভঙ্গ হয়ে রয়েছে গোটা জায়গাটা।
আরও পড়ুন: মমতা দিয়েছে দুর্গা পুজোয় নতুন শাড়ি, আরজি কর আবহে ‘উৎসবে ফেরা’ নিয়ে সওয়াল সৌমিতৃষার
বাংলাদেশেরই একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, উড় চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে দুর্গাপুজো আয়োজন করতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শুধু তাই নয়, চিঠিতে আরও উল্লেখ আছে যে, এই চিঠির ব্যাপার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বা গণমাধ্যমের কাছে জানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হবে।
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন! ‘হাত পা ঠান্ডা হচ্ছে’, লিখলেন সুদীপ্তা
শান্তির জন্য নোবেল পাওয়া ইউনুস বাংলাদেশের দায়িত্বভার হাতে নেওয়ার পর অনেকেই আশা করেছিলেন যে, এবারে হয়তো আর সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হবে না। তবে দেখা গেল, হাসিনার সরকারের সময় যে অবস্থা ছিল, এখন যেন তার চেয়েও খারাপ। কদিন আগে যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘নতুন দায়িত্ব পাওয়ার মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’