বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি, ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই নিজের ক্ষোভ উগরে দেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লেখিকার সরব হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার তিনি সরব হলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে নিয়ে। কড়া ভাষায় ইউনুস সরকারের নিন্দা করেছেন তসলিমা।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি?
'জেলে অসুস্থ চিন্ময় প্রভু', এই শিরোনামে এক সংবাদমাধ্যমের খবরের কাট আউট শেয়ার করেছেন তসলিমা নাসরিন। কড়া ভাষায় তিনি লেখেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিন, ইউনুস সাহেব। আপনি তো ভাল কাজ করতে জানেন না মনে হয়, অন্তত শিখতে তো পারেন।’
আরও পড়ুন-অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন! বক্সা টাইগার রিজার্ভে মাখনা হাতির তাড়া, বিপদে মনোময়

এদিকে তসলিমা নাসরিনের এই পোস্টের নিচে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বহু ভারতীয় নেটিজেন। কমবেশি সকলেই বাংলাদেশ সরকারের এমন নিন্দনীয় পদক্ষেপে তুমুল সমালোচনা করেছেন। তবে লেখিকা তসলিমা নাসরিন শুধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে নিয়েই নয়, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যায়, তিনি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বর্তমান করুণ ছবি তুলে ধরে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বারবার।
প্রসঙ্গত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু চারমাস ধরে ইউনুস সরকারের জেলে মিথ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বন্দি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের এই আইকন, সন্ন্যাসী গুরুতর অসুস্থ বলেই জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সূত্রে খবর তাঁর হার্ট, লিভার ঠিক মতো কাজ করছে না। হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচার ও মিথ্যা মামলায় বন্দি করার প্রতিবাদে অন্নজল ত্যাগ করেছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে বলে খবর। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে মুক্তি না দিলেন সন্ন্যাসীর জীবন সংশয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট।
আর এই দাবিতে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি তুলে ফের সরব হয়েছেন পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজ, ইসকনের কলকাতার প্রধান রাধারমন দাস সহ কলকাতার সাধু-সন্তরা।
কার্তিক মহারাজ এবিষয়ে বলেছেন, ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। এভাবে একজন সন্ন্যাসীকে মিথ্যা মামলায় বিনা বিচারে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। ঠিক মতো চিকিৎসা না করে মেরে ফেলে বাংলাদেশের হিন্দুদের কি শিক্ষা দিতে চাইছে জেহাদিরা? এনিয়ে আমি ভারত সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভারত সরকার বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করুক চিন্ময় প্রভুর জীবন রক্ষার জন্য। প্রয়োজনে এনিয়ে আমেরিকার প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলুক ভারত সরকার।’