তসলিমা নাসরিন বরাবরই স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে বলে থাকেন। কোনও বিষয়ে রাখঢাক গুড়গুড় করেন না। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে অশান্তি বেড়েছে, অস্থির হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি তার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। এদিনও তাঁর লেখায় উঠে এল বিভিন্ন সময় ওপার বাংলার সরকারের জন্য তাঁকে কীভাবে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তুলে ধরেন তাঁর ব্যক্তিগত নানা অভিজ্ঞতার কথা।
আরও পড়ুন: বড়পর্দায় চুটিয়ে কাজ করার পর ফের টিভিতে ফিরছেন জিতু! দেখা মিলবে কোন ধারাবাহিকে?
আরও পড়ুন: গোল্ডেন গ্লোবের পর এবার বাফতার দৌড়েও পায়েলের অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট! কটা বিভাগে মনোনয়ন পেল?
কী লিখেছেন তসলিমা?
এদিন এক্স হ্যান্ডেল অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে তসলিমা লেখেন, ' শেখ হাসিনা আমার অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছেন। উনি আমার বাবার জায়গা জমি থেকে একটা নয়া পয়সাও নিতে দেননি। সেই সম্পত্তি দাবি করার জন্য আমায় ওখানে সশরীরে যেতে হতো নইলে ওই দেশের কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হতো যে আমার হয়ে সেই সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে। যেহেতু শেখ হাসিনা আমায় ওই দেশে ঢুকতে দেয়নি আমি আমার বোনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিই। কিন্তু তাও নথিপত্রকে বৈধ প্রমাণ করতে বাংলাদেশি এম্ব্যাসিকে সেটা অ্যাটেস্ট করতে হতো। কিন্তু শেখ হাসিনার ভয়ে কেউ সেটা করেনি।'
এদিন তিনি আরও লেখেন যে খালেদা জিয়া যখন তাঁকে নির্বাসন দেন তখন ভেবেছিলেন শেখ হাসিনা হয়তো তাঁর প্রতি সিম্প্যাথি দেখাবেন। কিন্তু সেটাও হয় না। উল্টে বাবার মৃত্যুর সময়ও ওপার বাংলায় যেতে পারেন না তসলিমা নাসরিন। সেই বিষয়ে লেখেন, ‘আমার বাবা যখন মৃত্যুশয্যায়, আমি দেশের ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করছি ওঁকে একবার দেখার জন্য। শেখ হাসিনাকে অগুনতি বার অনুরোধ করেছি যাতে আমায় না আটকায়। কিন্তু আমার অনুরোধ তিনি শোনেননি, আমায় ফিরতে দেননি। নির্দয়, নিষ্ঠুর হয়ে থেকেছেন।’
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের জল্পনায় জল ঢেলে ফের একফ্রেমে! বর্ষবরণের ছুটি কাটিয়ে জুটিতে মুম্বই ফিরলেন ঐশ্বর্য-অভিষেক
এদিন লজ্জা লেখিকার কথায় উঠে আসে তাঁর বইকে ওদেশে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গও। কখন হাসিনা, কখনও খালেদা জিয়ার কাছে তিনি কোন ব্যবহার, কোন নির্দয়তার শিকার হয়েছেন সেটা তুলে ধরেন। এবং একই সঙ্গে লেখেন, 'এতসবের পরেও আমি বদলা নিতে চাইছি না। আমি উল্টে ইউনুস সরকার যে অত্যাচার চালাচ্ছে আওয়ামী লিগের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের উপর তার বিরুদ্ধে কথা বলছি। আমি আগামী ভোটের জন্য আওয়ামী লিগের হয়েই প্রচার করছি কথা বলছি। সমস্ত প্রো লিবারেশন যুদ্ধ শক্তিকে এক হওয়ার ডাক দিচ্ছি এক জাতীয় ক্রাইসিসের সময়।'