পদ্মপাড়ে ফের অরাজকতা। মুজবিরের ধানমন্ডির বাড়ি, দেশজুড়ে একাধিক জায়াগায় বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আঁতকে উঠেছে এপার বাংলার মানুষেরাও। আর ভারতে বসে যেন ছটফট করছেন তসলিম নাসরিন। বহুদিন তিনি নিজের দেশে পা রাখেননি। শেখ হাসিনার সরকারই ছিল এই ঘটনার পিছনে। তবুও, নিজের দেশের এহেন ক্ষতি, ইতিহাসের এরকম বিকৃতি মেনে নিতে পারছেন না লেখিক।
বুধবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি, জেলায় জেলায় ভাঙা হচ্ছে মুজিবের মূর্তি-সহ বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় স্মৃতি। এমনকী হাসিনার বাসভবনে সুধা সদনেও আগুন দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। তিনি বৃহস্পতির সকালেই নির্মমতার ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে লিখলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির শেষ চিহ্নটুকু আজ পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হলো। কাঁদো বাংলাদেশ কাঁদো।’
নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে একটি পৃথক পোস্টে তসলিমা লিখলেন, ‘এক আকাটা হিন্দুর নির্দেশে হাজার হাজার কাটা হিজবুতি হাতুড়ি শাবল আর বুলডোজার নিয়ে দৌড়োলো, স্বাধীনতাকামী বাঙালির তীর্থস্থান গুঁড়িয়ে দিয়ে উড়িয়ে দিল কালিমা-মাখা পতাকা। খুশিতে আত্মহারা পাকিস্তানী সেনারা, যে সেনারা তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছিল একাত্তরে। কাটা হিজবুতিদের বাংগানিস্তানে আকাটা হিন্দুটির কিন্তু কোনও জায়গা হবে না।’
এদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা নিয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। যেখানে লেখা হয়, ‘বিশ্বাসঘাতকের যুগের অবসান হল, বাংলাদেশের বিপ্লবীরা গুঁড়িয়ে দিল মুজবর রহমানের বাড়ি।’ সেটিও সামনে এনেছেন তসলিমা। রিটুইট করেছেন পাকিস্তান সেনার তরফে আসা বার্তাটিকে।
আরও পড়ুন: ১১ বছর পর ‘ম্যায় হু না ২’ বানাতে ইচ্ছুক ফারহা খান, শাহরুখ থাকছেন নাকি বাদ যাবেন?
এদিকে বুধবারের ঘটনার পর দিল্লি থেকে ভিডিও বার্তায় ‘বেইমান’ ইউনুসকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসিনা। তিনি ভারতে থেকেই ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে বলেন, ‘লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংবিধান, স্বাধীনতা, পতাকা পেয়েছি— তা কয়েক জন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিয়েতে লাল টুকটুকে বউ, এবার কি সাহেবের সঙ্গে সমুদ্রে হানিমুন! ছবি দিলেন ‘কথা’ সুস্মিতা
‘যাঁরা এ সব করছেন, তাঁরা হীন মনের পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁদের হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা পছন্দ নয়। পাকিস্তানিদের অধীনে থাকা এবং পদলেহন করাটাই হয়তো তাঁদের পছন্দ।’, নিজের বক্তব্যে আরও জুড়েছেন হাসিনা।