আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলের একাধিক ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে গোটা বিশ্বের। একের পর এক বাড়ি-গাড়ি পুড়ে গিয়ে একেবারে কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে পড়ে আছে। আর বরাবরই দেখা গিয়েছে, যখনই কোনো দুর্ঘটনা সামনে এসেছে, সেখানেই কিছু ধর্মীয় গোড়া ব্যক্তি তা নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে ফেলেছেন। প্রথম বিশ্বের দেশে থাকা লস অ্যাঞ্জেলসের আগুনও বাঁচতে পারেনি এরকম মন্তব্য থেকে। সেরকমই দুটি পোস্ট সামনে আনলেন ভারত-নিবাসী, বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তসলিমার পোস্ট থেকেই দেখা গেল, একটি ছবি শেয়ার করা হচ্ছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, চারদিকে ধ্বংসস্তুপ। আর তারই মাঝে অক্ষত একটি লাল ছাদওয়ালা বাড়ি। তসলিমা লিখলেন, ‘দাবানলে বাড়িঘর সব পুড়ে গেছে, শুধু একটি লাল বাড়ি অক্ষত আছে। খ্রিস্টান দাবি করছে, বাড়িটিতে বাইবেল ছিল বলে পোড়েনি। মুসলমান দাবি করছে বাড়িটিতে কোরান ছিল বলে পোড়েনি। দুই ধার্মিকই মিথ্যে কথা বলছে।’
তসলিমা জানালেন, আসলে এই ছবিটি লস অ্যাঞ্জেলসের নয়। বরং ২০২৩ সালে হাওয়াই-এর। লেখিকা তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘বহু কোরান বাইবেল রাখা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ছবিটি লস এঞ্জেলেসের নয়। ছবিটি ২০২৩ সালের হাওয়াইএর। লাল বাড়িটি না পোড়ার কিছু কারণ তো নিশ্চয়ই আছে। কেউ কেউ ধারণা করছে, ছাদটি মেটালের বলে পোড়েনি।’
‘ধর্মগ্রন্থ ফায়ারপ্রুফ নয়। বিশ্বাস না হলে পরখ করে দেখুন। কোরান আর বাইবেলে নিজেই দেশলাই কাঠি দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেখুন কেমন দাউ দাউ করে জ্বলে। পুড়ে ছাই হয়ে যাবে দুটো বইই।’, সঙ্গে জুড়লেন তিনি। আর এই লেখার সঙ্গে দুটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের স্ক্রিনশটও দেন। একটি ‘Catholic Saints’ নামের পেজ থেকে করা। আরেকটি ‘মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন’।
তসলিমার এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আর কবে যে মানুষ বুঝবে, ধর্ম আফিমের মতই মানুষের বোধবুদ্ধি লোপ করে দেয়।’ অপরজন লেখেন, ‘এই ঘরটাও পুড়ে গেলে ওরা তখন বলত... গোটা এলাকায় কোরান, বাইবেল এসব না থাকার জন্য সব পুড়ে গেছে।’