হলুদ পোশাক, হলুদ টুপিতে সেজে বাবার কোলে খুদে। চেন্নাইয়ের সমুদ্রের পারে মনোরম পরিবেশ। কিন্তু খুদের চোখ আটকে অন্যত্র। বাবার কোলে থাকলেও ছবির জন্য পোজ দিতে রাজি নয় সে। কারণ পিছন ঘুরে স্নানপোশাকে সমুদ্র সৈকতে ছুটে বেড়ানো বিদেশি বালার উপর থেকে চোখ সরছে না তাঁর। বছর ৩৫-র আগেকার এই ছবি নিয়েই সমাজমাধ্যমের পাতায় শেয়ার করে নিয়েছেন খুদে।
এই খুদে এখন টলিপাড়ার নামজাদা পরিচালক, সঙ্গে অভিনেতাও। ছোটপর্দায় সদ্যই নায়কের চরিত্রে ফিরেছেন। ভিলেনের ভূমিকাতেও তিনি সমান সাবলীল। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হামেশাই চলে কাঁটাছেড়া। দুটো বিয়ে ভাঙা হোক কিংবা হাঁটুর বয়সী নায়িকার সঙ্গে প্রেম, আলোচনা চলে অবিরাম।
এই খুদে আর কেউ নন, পারিয়া পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়। যাঁকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কার্লাস বাংলার কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে-তে। পুরোনো ফ্যামিলি অ্যালবামের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে নিয়ে রসকিতা করলেন খোদ অভিনেতা।
তথাগত লিখেছেন, 'এটা মাদ্রাস, অধুনা চেন্নাইয়ের সমুদ্র। বাবার কোলে আমি। বাবা চেষ্টা করছে যাতে ছোট্ট আমি ক্যামেরার দিকে তাকাই। কিন্তু আমি দেখছি কোনও বহিরাগত শত্রু দেশে ঢুকে পড়ল কি না।' বয়স যাই হোক গুপ্তচার বৃত্তিতে বাঙালি পুরুষ দু-পা এগিয়ে থাকে, একথা জানিয়ে তিনি যোগ করেন,'বিদেশীদের ভরসা নেই,উন্নত লোকজন, নজরে রাখা দরকার।তাই ওইটুকু বয়সেই ক্যামেরার মোহ মায়া ত্যাগ করে আমি গুপ্তচর বৃত্তিতে ব্যস্ত।গড়-পড়তা বাঙালি পুরুষদের মতন। বিপদ তো বলে কয়ে আসে না, বিপদের দিকে লক্ষ্য রেখে অবশেষে বিপদে পড়ে যাওয়াই তো বাঙালি পুরুষের ব্রত। সে বাঙালি পুরুষের বয়স যাই হোক না কেন।'
তথাগতর এই পোস্টে মন্তব্যের বন্যা। একজন লেখেন, 'ভটভটি'র চিন্তাভাবনার শুরু বোধ হয় সেখান থেকেই।' আরেকজন লেখেন, ‘দাদা ছোটবেলা থেকেই ফোকাসটা ঠিক জায়গায় রেখেছিলেন’।
প্রসঙ্গত, একটা সময় টলিপাড়ার আদর্শ দম্পতি হিসাবে পরিচিত ছিলেন তথাগত-দেবলীনা। এখন দুজনের ছাদ আলাদা। তিন বছর ধরেই আলাদা থাকেন স্বামী-স্ত্রী, কিন্তু আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি। দেবলীনার আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন তথাগত। অভিনেত্রী কন্যাকুমারীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে টেকেনি। সম্প্রতি অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তথাগতর প্রেমচর্চায় তোলপাড় টেলিপাড়া। যদিও গোটাটাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক।