দুর্গামণ্ডপের সৌন্দার্যনের নামে পশুর সঙ্গে অমানবিক আচরণ! এক উটকে মণ্ডপের বাইরে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বৈজ্যমাটির এক ক্লাবকর্তারা। পুজোর থিম হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো সভ্যতা। তাকে জীবন্ত করতেই বৈদ্যবাটি এলাকায় নার্সারি রোড দূর্গাপুজো কমিটি এমন পাশবিক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। উটের পায়ে শিকল পরিয়ে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে, এমন ছবি-ভিডিয়ো সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছে। আরও পড়ুন-বক্স অফিসে দেবের টেক্কাকে হারিয়ে দিল বহুরূপী! সপ্তমী পর্যন্ত কার আয় কত? জানুন
এই নিয়েই সমাজবাধ্যমে একযোগে সরব তথাগত ও দেবলীনা। দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙলেও অবলাদের জন্য বরবারই পরস্পরের পাশে আছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এবার গর্জে উঠেছেন দুজনে। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হল এই ঘটনা নিয়ে নির্লিপ্ত এলাকার তারকা সাংসদ রচনা! অন্তত তথাগত তেমনটাই অভিযোগ জানাচ্ছেন।
তথাগত রচনাকে খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘ঐক্যতান এর পূজোতে একটি উটকে মানুষের বিনোদনের জন্য প্রর্দশনী স্বরূপ বেঁধে রাখা হয়েছে। প্যান্ডেল থিম হরপ্পা মহেঞ্জোদড়ো।আমাদের রাজ্যের শিক্ষার মান অনুযায়ী উট বেঁধে প্রমান করতে হচ্ছে যে এটা সেই যর্থাথ থিম। অথচ এই অসভ্য,বর্বরোচিত কাজটা যে আইনত অপরাধ,এবং এই কাজটি অ্যানিম্যাল ক্রুয়েলটি অ্যাক্টের আওতায় পড়ে তা স্থানীয় পুলিশ বা অনুদানপ্রাপ্ত ক্লাব কর্তারা কেউ জানেন না। পুলিশের পারমিশান নিয়ে নাকি এই উটটিকে মন্ডপে রাখা হয়েছিল।’
তথাগত গর্জে উঠে আরও লেখেন, ‘গতকাল আমাদের এবং স্থানীয় কিছু মানুষদের আপত্তিতে উটটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ আবার উটটিকে সাজিয়ে গুছিয়ে মন্ডপের পাশে একটি স্থানে এই ভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে। অথচ সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী সমস্ত উটকে রাজস্থানে রাখতে হবে, এ দেশে যদিও সুপ্রিম কোর্ট একটা প্রহসনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।’
এরপর তথাগতর অভিযোগ, ‘তোমাকে (রচনা) এই গোটা বিষয়টা গতকাল হ্যোয়াটস জানিয়েছিলাম,ফোনও করেছিলাম। যেহেতু এলাকাটা পলিটিকালি তোমার জুরিসডিকশানের মধ্যে পড়ে। কিন্তু পুজোয় তোমার নিশ্চয়ই দারুন ব্যস্ততা চলছে তাই উত্তর দিয়ে উঠতে পারোনি বা ফোন ধরতে পারোনি। অগত্যা স্যোশাল মিডিয়া। কারণ আমাদের তরফে পুলিশে কমপ্লেন করা হয়ছে শ্রীরামপুর থানায়, এবং এ রাজ্যে পুলিশ সাধারণত যা করে তাই করেছে, কিচ্ছু না। যতক্ষন না ওপর থেকে অর্ডার আসছে। তাই তোমাকে পাব্লিক ফোরামে গোটা ব্যাপারটা জানানো। উটটি উড়িষ্যা থেকে এসেছে। বাংলার পাশাপাশি তুমি যেখানকার প্রথিতযশা নায়িকা ছিলে। তাই তোমার এলাকায় পুজোর নামে যদি কিছু মানুষ অসহায় পশুর ওপর অত্যাচার করে তার দায় তোমার ওপর বর্তায়।কারণ মানুষ ন্যায় বিচারের জন্য ভোট দিয়ে তোমায় জিতিয়েছে, আশা করি আমার হ্যোয়াটসআপ মেসেজ বা ফোন এর মতোন বিষয়টা তোমার নজর এড়াবে না।’
সব শেষে তথাগত বলেন, ‘আমি নেহাৎ কলকাতায় নেই নইলে সশরীরে যেতাম উটটাকে উদ্ধার করতে। আপাতত জন প্রতিনিধি রচনা বন্দোপাধ্যায়-দি তুমিই ভরসা একটা অবলা প্রানীর উদ্ধারের বিষয়ে। উট গৃহপালিত প্রানী, তাই পুলিশের ইন্টারফেয়ারেন্স ছাড়া কোনও প্রানী সাহায্যকারী সংস্থা কিছু করে উঠতে পারছে না, উটটাকে উদ্ধারের বিষয়ে। অথচ ক্লাব সেক্রেটারি বলছেন পুলিশ পারমিশান নিয়েই নাকি এই অপরাধ ওনারা সংগঠিত করেছেন। বুঝতে পারছি না পুলিশ কি করে অপরাধ মূলক কাজের প্ররোচনা দেয়, কার অনুপ্রেরণায়!!!!’