ছবি: টেক্কা
অভিনয়ে: দেব, রুক্মিণী মৈত্র, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
পরিচালনা: সৃজিত মুখোপাধ্যায়
রেটিং: ৩.৭/৫
টেক্কা মুক্তির মাত্র একদিন আগেই দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছিল ছবির কোনও স্পয়লার যেন না দেওয়া হয়। সিনেমা দেখে বুঝলাম সেটা কেন। যাক গে, অবশেষে মুক্তি পেল টেক্কা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় দেব, স্বস্তিকাদের ছবি কেমন হল জানাচ্ছে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
আরও পড়ুন: পুলিশ-ডাকাতের ইঁদুর-বিড়ালের দৌড়ে আবিরকে ছাপিয়ে গেলেন 'বহুরূপী' শিবপ্রসাদ! কেমন হল ছবি
কী নিয়ে ছবি?
দেব ওরফে ইকলাখের চণ্ডালের মতো রাগ। আর এই রাগ, মেজাজের জন্যই কাজ হারায় সে। অন্যদিকে তাঁর ছেলেকেও স্কুল থেকে মাইনে না দিতে পারার কারণে বহিষ্কার করা হয়। আর নিজের চাকরি ফিরে পেতে দেব একটি স্কুলের বাইরে থেকে অপহরণ করে স্বস্তিকা ওরফে ইরার মেয়েকে। পুলিশকে তিনি জানান তিনি যে অফিসে সাফাইকর্মীর কাজ করতেন, সেখানকার মালিককে এসেই তাঁকে চাকরি ফেরত দিতে হবে। সেখানেই পুলিশ হিসেবে কেসের দায়িত্ব নেয় রুক্মিণী মৈত্র ওরফে মায়া। ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যান দেবদান আরিয়ান ভৌমিক এবং সৃজা দত্ত ওরফে বৃষ্টিও। তারপর.... সেটা তো সিনেমা হলে গিয়েই দেখতে হবে।
কেমন লাগল টেক্কা?
খুব সত্যি বলি? প্রথম হাফ দেখে মনে হচ্ছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় এটা কী বানিয়েছেন? কেনই বা বানিয়েছেন। মানে এতজনের সামনে থেকে একটা শিশুকে অপহরণ করল সেখানে যতই তার হাতে বন্দুক থাক অতজন মানুষ কিছু করতে পারল না? বা ইত্যাদি.... কিন্তু দ্বিতীয় হাফেই খেলা ঘুরল। আর সে খেলা এমন ঘোরান ঘুরল যে চমকে যেতে হয়। আর সৃজিত মুখোপাধ্যায় বোঝালেন তিনি কেন টলিউডের ফার্স্ট বয়। ফলে প্রথম হাফ দেখে আমার মতো অনেকেই ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু দ্বিতীয় হাফ সেটা ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে।
আরও পড়ুন: করণের থেকে ধর্মা প্রোডাকশনের অধিকাংশ স্টেক কিনে নিতে পারে সারেগামা!
আর এবার আসি অভিনয়ে। দেব। এ যেন এক নতুন দেবকে দেখলাম। কী এক্সপ্রেশন! কী স্পষ্ট উচ্চারণ! এক কথায় অনবদ্য। আর এই বছরটা রুক্মিণী মৈত্রর। আলাদা আলাদা চরিত্রে তিনি সত্যিই অনবদ্য। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বরাবরের মতোই নজরকাড়া।
ছবি সংলাপ থেকে, শেষ মুহূর্তের টুইস্ট, সিনেমাটোগ্রাফি সবটাই বেশ ভালো লাগবে। তবে ছবির দুটো গান আলাদা ভাবে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। বিশেষ করে শেষ গানটি।