এদিন যে কেবল বড় পর্দার তারকারাই পথে নেমেছিলেন সেটা নয়। ছোট পর্দার একাধিক জনপ্রিয় মুখকেও তিলোত্তমার হয়ে প্রতিবাদ চেয়ে পথে নামতে দেখা যায়। রূপাঞ্জনা মিত্র থেকে সায়ন্তনী মল্লিক, দিব্যজ্যোতি সহ অনেকেই এদিন রাস্তায় নামেন।
এদিন কী পোস্ট করলেন ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়?
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এদিন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে রাত দখলের জমায়েতে অংশ নেন। সেখানকার একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি এদিন লেখেন, 'সরকার-ঘনিষ্ঠ ছোট-বড়-মাঝারি-মেজো-সেজো-কচিদের দেখতে অনুরোধ করব এই ভিডিয়ো দেখার। এটা বেহালা সরশুনা বাস স্ট্যান্ডের চিত্র। রাত্রি ১টা। আমরা সকলে জমা হয়েছি, একসাথে- যতদূর ভিডিয়ো করা যাচ্ছে, শুধু ভিড়ের দৃশ্য। মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তথাকথিত পিছিয়ে পড়া এলাকার সাধারণ মানুষ আমরা। আজ RG KAR ভাঙচুর করছ তোমরা চামচার দল। কাল আবার আমরা রাস্তায় নামব। আমার মা থাকবেন আমার সঙ্গে মিছিলে। আমি ঋতব্রত, দিনের পর দিন ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে রাখা এই বেহালা সরশুনার সাধারণ বাসিন্দা। আজকের এই আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাই। চলুক! দেখি কতদূর যেতে পারে ওরা।'
অন্যদিকে নবদম্পতি রূপাঞ্জনা মিত্রকে প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁর বরের সঙ্গে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। রাতুল মুখোপাধ্যায় 'we want justice' স্লোগান তোলেন মিছিল থেকে।
বাদ যাননি অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের অন্যান্য অভিনেতা,অভিনেত্রীরাও। কাকিয়া সায়ন্তনী মল্লিক এদিন যাদবপুরের জমায়েতে অংশ নেন। সেখান থেকে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। দিব্যজ্যোতি দত্ত এদিন স্বস্তিকা ঘোষ, সহ অনুরাগের ছোঁয়ার অন্যান্য কলাকুশলীদের সঙ্গে নিয়ে একাধিক ছবি পোস্ট করে তিলোত্তমার হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে। বাদ দেননি প্রতিবাদের মিছিলে পা মেলাতে। ইষ্টি কুটুম ধারাবাহিক খ্যাত রনিতা দাসও এদিন পথে নেমেছিলেন। তিনি রাত দখলের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্যদিকে তুমি আশেপাশে থাকলে ধারাবাহিকের দুই মুখ্য অভিনেতা রোহন ভট্টাচার্য এবং অঙ্গনা রায়ও এদিন রাত দখলের একটি জমায়েতে অংশ নেন। সেখান থেকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে স্লোগান তোলেন। বাদ যাননি বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ও।
কী ঘটেছে ১৪ অগস্ট?
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। জানা যায় তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। আর সেটারই প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ অগস্ট 'রাত দখল' করেন মহিলাটা। যোগ দেন পুরুষরাও। বেঙ্গালুরু, মুম্বইতে চলে জমায়েত। আরজি কর হাসপাতালে এদিন প্রবল ভাঙচুর এবং ধস্তাধস্তি চলে।