রাজ্যজুড়ে করোনার জেরে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত ১৫ই মে ফেডারেশনের তরফে স্বরূপ বিশ্বাস ঘোষণা করেন ৩০ শে মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সবরকমের শ্যুটিং। শ্যুটিং বন্ধ থাকলেও সিরিয়ালের টাটকা পর্বের সম্প্রচার কিন্তু গত দু-সপ্তাহে থেমে নেই বলা যায়। ‘কড়ি খেলা’-র মতো হাতে গোনা সিরিয়াল ছাড়া সব সিরিয়ালের ফ্রেশ পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে শ্যুট করা এপিসোডও সম্প্রচারিত হচ্ছে। সেই নিয়েও টেলিপাড়ায় তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। সেই আঁচ ঠান্ডা হতে না হতেই এবার বিতর্কে নাম জড়াল বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের এক নম্বর ধারাবাহিক ‘মিঠাই’-এর।
সিদ্ধার্থ-মিঠাই-এর ডিভোর্স পর্ব নিয়ে গল্প এখন জমজমাট। টানা ছয় সপ্তাহ ধরে এক নম্বরে টিকে রয়েছে জি বাংলার এই শো। এবার জানা গেল ফেডারেশনের জারি বিজ্ঞপ্তি লঙ্ঘন করে লুকিয়ে মিঠাই ধারাবাহিকের শ্যুটিং হয়েছে। ১ নম্বর শো-এর তকমা ধরে রাখবার চাপেই কি বিধি-ভাঙা? কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, গল্পের লিড রোলে আদৃত রায়ের বাড়ির কাছেই নাকি আউটডোরে হাতেগোনা টেকনিশিয়ান নিয়ে শ্যুটিং হয়েছে। কিন্তু এবারে কিছুই হদিশ নেই ফেডারেশনের কাছে!
কিন্তু শ্যুটিংয়ের ব্যাপারটি নিয়ে মুখ খুলতে না-রাজ কেউই। সিরিয়ালের সন্দীপ ও শ্রীতমা, মানে বিশ্বাবসু বিশ্বাস ও দিয়া মুখোপাধ্যায় এমন খবর সাফ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, ১৫ ই মে-র পর একমাত্র বাড়িতেই শ্যুট করেছেন তাঁরা। তবে নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু এই ব্যাপারে কোনওরকম মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। জানান, 'এ ব্যাপারে চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিলে ভাল হয়।’
চুপিসাড়ে শ্যুটিংয়ের ব্যাপারে কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা প্রযোজনা সংস্থার তরফে।