পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বিশিষ্ট অভিনেতার পুরস্কার পেলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। পূর্ণদৈর্ঘ্যের নাটকে অভিনয়ের বিচারে পুরস্কৃত করা হয় তাঁদের। নাট্যচর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য ৪০জন অভিনেতা, অভিনেত্রী, নাট্যকার এবং নেপথ্য শিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নাট্য অ্যাকাডেমির তরফে। করোনার জেরে এবছর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন পুরস্কার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির সচিব দেবকুমার হাজরা। এছাড়া নাট্যব্যক্তিত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার, সত্যনারায়ণ ভাদুড়ি, মেঘনাদ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নাট্য প্রযোজনা, রচনা, অভিনয়, পরিচালনা, মঞ্চসজ্জা, প্রোডাকশন ডিজাইন এবং সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন জেলায় নাট্যদল চালান। এদিন পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়, পৌলমী বসু, সুপ্রিয় দত্ত, সমীর বিশ্বাস সহ অনেকে পুরস্কার পেয়েছেন। এদিন যাঁরা যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন-
বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোত্তম যোগ্যের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে। এখানে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। এর আগে রাজনৈতিক ভেদাভেদের কারণে অনেকের মনেই হয়ত ক্ষোভ ছিল। এবছর ব্যক্তিগতভাবে যেন কেউ নিজের নাম সুপারিশ না করেন, সেদিকে খেয়াল রেখেছিলাম। আশা করি যাঁরা এবছর পুরস্কার পেলেন না, ভবিষ্যতে আমরা তাঁদের সম্মানিত করতে পারব’।
নাট্য ব্যক্তিত্ব সুপ্রিয় দত্ত বলেন, ‘আমি নিজে একজন বিপরীত মতানৈক্যের রাজনৈতিক দলের লোক হয়েও আজকে এই পুরস্কার পাচ্ছি। শেষ পুরস্কার পেয়েছিলাম তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত থেকে। আবার সরকারি পুরস্কার পেলাম আমার বন্ধু ব্রাত্যর থেকে’।
এদিন পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি ১৮তম নাট্য অ্যাকাডেমি পত্রিকাটিও প্রকাশিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দলপিছু ৫০০০ টাকা অনুদানের মূল্য বাড়িয়ে ৫০,০০০ টাকা করা হয়েছে। এই বছর রাজ্যের প্রায় ৪০০টি দল এই অনুদান মূল্য পাওয়ার সুযোগ পাবে।