সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সম্পর্কিত মাদক মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন প্রয়াত অভিনেতার ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার তথা ফ্ল্যাট মেইট সিদ্ধার্থ পিঠানি। অভিনেতার মৃত্যু মামলা সম্পর্কিত ড্রাগ কেসের তদন্তে শুরু থেকেই এনসিবির নিশানায় ছিল পিঠানি। এনডিপিএস আদালতে বারবার তাঁর জামিনের আর্জি নাকোচ হওয়ার পর অবশেষে বম্বে হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দিল।
ভারতী ডাংগরে এজলাসে এদিন পিঠানির জামিনের আর্জির শুনানি চলে। তাঁর আইনজীবী অদ্বৈত তামহাংকর পিটিশনে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই যার দ্বারা এনিসিবি প্রমাণ করতে পারে অবৈধ ড্রাগচক্রের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল পিঠানির।
এনসিবির তরফে সরকারি আইনজীবী শ্রীরাম শিরসাত এই পিটিশনের বিরোধিতা করে জানান, পিঠানির বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। একাধিক ভিডিয়ো, এবং মোবাইলের অন্য তথ্য-প্রমাণ এবং ব্যাঙ্কের লেনদেন যা প্রমাণ করে নিষিদ্ধ মাদক কেনাবেচা করতেন পিঠানি।
গত বছর ২৮শে মে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ পিঠানি। এক বছরেরও বেশি সময় মাদক মামলায় জেলবন্দি থাকলেন সুশান্তের এই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। ২০১৭ সালে এক পরিচিতের মাধ্যমে প্রথমবার সুশান্তের সঙ্গে আলাপ পিঠানির। এরপর ২০১৯ সালে সুশান্তের সঙ্গে কাজ করা শুরু করে পিঠানি। বান্দ্রার কার্টার রোডের ওই অভিশপ্ত ফ্ল্যাটে সুশান্তের সঙ্গেই থাকতেন সিদ্ধার্থ। এমনকী ২০২০ সালের ১৪ জুনের সকালে সিদ্ধার্থ পিঠানি প্রথম অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ দেখেন।
এদিন পিঠানির আইনজীবী দাবি করেন অকারণে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ২৭এ ধারা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বম্বে হাইকোর্ট পিঠানির জামিন মঞ্জুর করেছে। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেল সে। একগুচ্ছ শর্ত মেনে চলতে হবে তাঁকে।