শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস 'মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি'-কে পর্দায় আপামর বাঙালি দর্শকের কাছে হাজির করেছিলেন পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। পর্দায় সেই 'অদ্ভুত বাড়ি' দেখে দর্শক থেকে সমালোচকের দল এ সেই বইয়ে পড়া 'অদ্ভুত বাড়ি' না হয়ে যায় না। একেবারে বইয়ের বর্ণনার মতো অবিকল এক। এবার মনোজদের সেই বাড়িই ভেঙে ফেলা হল।
আসলে পুরোনোকে আগলে রাখতে পারে কয়জন? অনেকসময় ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ্য থাকে না। আবার পুরোনো বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট, হাইরাইজ কিংবা শপিং মল তৈরি বর্তমান সংস্কৃতির অন্যতম পায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসকে লালন করার সদিচ্ছাও বা থাকে কতজনের?
আদতে এই 'অদ্ভুত বাড়ি' মহিষাদলে অবস্থিত বহু পুরোনো এক রাজবাড়ি, যার সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে। শোনা যেত, একসময় এই বাড়িতে নাকি বাঘও পোষা হাত। শেষপর্যন্ত রক্ষা করা গেল না সেইসব ইতিহাস। প্প্রসঙ্গত, 'মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি'-র শ্যুটিং করার পর এই বাড়ি 'কন্দর্পনারায়ণ এর বাড়ি' বলেও অনেকের কাছে পরিচিত ছিল।
এদিন অর্থাৎ শুক্রবার নিজের ফেসবুকে এই খবর দেন খোদ পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওপেন টি বায়োস্কোপ -এ বৈশাখী-ফোয়ারার বাড়িটি শুটিং-এর পরপরই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেখানে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি। এবার ভাঙা পড়ল কন্দর্পনারায়ণের রাজবাড়ি। স্থানীয় শিক্ষক সন্তু জানা খবর পাঠালেন আমায়। মনোজদের অদ্ভুত বাড়ির শুটিং হয়েছিল। মহিষাদলের পুরনো রাজবাড়ি। বাড়ির নীচের এক প্রকোষ্ঠে একদা বাঘ থাকত এ বাড়িতে। একরাত শুটিং করেছিলাম এখানে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ছিল এর সঙ্গে। তারও কিছুটা ভেঙে পড়ল বই কি!একটার পর একটা বাড়ি ভাঙে, আর অনেকগুলো মন।