দু'দিন আগেই কৃষ্ণনগরে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন গায়ক শিলাজিৎ। দিব্যি চলছিল অনুষ্ঠান, গান গাইছিলেন শিলাজিৎ। তখন তাঁর গান শুনতে শুনতে শ্রোতা ও দর্শকরা বেশ উত্তেজিত। দর্শকাসন থেকে ভেসে আসছিল সেই উত্তেজনার ঢেউ। এই পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপর হঠাৎ এ কী করে বসলেন শিলাজিৎ?
গায়ক গান গাইতে গাইতে আচমকা যা করলেন তা হয়ত কেউ-ই আঁচ করতেও পারেননি। হঠাৎই দর্শকদের উপরে ঝাঁপ মারলেন। পপ গায়করা সাধারণত শো করতে করে যেমনটা করে থাকেন আর কি। ঠিকই তেমনই চেয়েছিলেন শিলাজিৎ। কিন্তু নাহ, তাঁকে ধরে রাখতে পারলেন না অনুরাগীরা, শেষপর্যন্ত ফেলেই দিলেন। বুঝুন কাণ্ড…। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ফেসবুকের দেওয়ালে নিজেই পোস্ট করেছেন, সঙ্গে মজা করে অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন বেশকিছু কথা।
শিলাজিৎ লিখেছেন, ‘ আমি কিন্তু বলেছিলাম ঝাঁপাব, তোরা বলেছিলি ধরবো। এবার রেডী হ, আর কতদিন ধরবো বলে ধরতে পারবি না। তোদের জন্য নতুন কিছু করতে পারবো না নাকি। এবার তো বুড়ো হয়ে যাবো। তখন আর পারবো না। নানা রকম তো করলি এবার একটু ধরতে শেখ। বাংলা গান ঝাঁপিয়ে পড়বেই তোদের ঘাড়ে। শিল্পীরা ভক্তর কাঁধে চেপে ই তো যাবে, বেঁচে থাকতে থাকতে। মরে গেলে তো চারটে লোক ই চান্স পাবে। তাও এখন তো সব গাড়িতে চলে যায়। ধরো ধরা শুরু করো। নইলে আর চান্স পাবে না। বেটার লাক নেক্সট টাইম।'
শিলাজিতের এমন পোস্টে উঠে এসেছে নেটনাগরিকদের নানান মজাদার কমেন্ট। সেই সব কমেন্টের বেশকিছুতে উত্তরও দিয়েছেন শিলাজিৎ। একজন লিখেছেন, 'ওরে বাবা রে কি দেখলাম'! কেউ রবীন্দ্রনাথের গানের কথা টেনে লিখেছেন, ‘এত প্রেম আমি কোথা পাব নাথ তোমায় হৃদয় রাখিতে তুমি apni না এলে কে পারে, দয়া না করিলে কে পারে হৃদয় রাখিতে। একটা গোটা সাম্রাজ্য বাচ্চাদের হাতে এসে পড়লে তার ক্ষতি লাভ দুটোই হতে পারে’। এমন কথায় না হেসে পারেননি গায়ক। আবার কেউ লিখেছেন, ‘তোমাকে ধরে রাখা যে বড়ই শক্ত! ধরতে পারেনি কেউ-ই। এনজয়গুরু’। উত্তরে শিলাজিৎ ফের মজা লিখেছেন, ‘চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু’। কারোর পরামর্শ, ’ওজন টা কমাতে হবে জয় গুরু, আমি নিচে থাকলে এতক্ষণ অক্কা পেয়ে যেতাম।' এই কথায় গায়কের উত্তর, ‘এখনও সাতাত্তর মোটে,আর কত কম চাস। হাড়ের ওজন বাদ দেবো কি করে।’ কারোর আশ্বাস, ‘পরের বার আর পরতে দেব না শিলা দা। ধরব ধরব করে ধরেই ফেলব।’
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কৃষ্ণনগরের শোয়ের কথা জানিয়ে গায়ক ফেসবুকে লিখেছিলেন, কাল কৃষ্ণনগর তৈরি তো? ‘আমি কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ব,আমার অত ঢাক ঢাক গুর্ গুর নেই।ধরতে পারবি তো?সব জায়গায় কিন্তু এখনও ক্রাউড সার্ফ করার জন্য ক্রাউড তৈরি হয়নি।সেই নব্বই সাল থেকে কমিউনিকেট করার চেষ্টা করছি,এই কিছু বছর হলো দেখছি মাথা টাতা ঝাঁকাচ্ছে লোকজন।এবার তো একটু প্র্যাক্টিস কর।এবার কিন্তু আস্তে আস্তে অনেকেই ঝাঁপাবে।ধরো ধরা প্রাকটিস করো।এমন কিছু ওজন নয় আমার পঁচাত্তর কিলো মত হবে। পারবি তো? বলে দে ভাই নইলে আমি বেকার লাফাব না।’
গায়ক কথা রাখলেন, তবে তাঁকে ধরে কথা রাখতে পারলেন না অনুরাগীরা। তবে গোটা ঘটনা বেশ মজা করেই নিয়েছেন গায়ক।