শুক্রবার অর্থাৎ ১১ মার্চ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। দীর্ঘ টালবাহানার পর মুক্তি পেল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি। মুক্তির পরই বক্স অফিসে কাঁপাচ্ছে এই ছবি। প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে আরও ভালো ব্যবসা করেছে এই সিনেমা। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ১৩৯% বেশি ব্যবসা করেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। দ্বিতীয় দিনে ৮ কোটির বেশি ব্যবসা করেছে।
উল্লেখ্য, প্রথম দিনে ৩.৫৫ কোটির ব্যবসা করেছে এই ছবি। এখন পর্যন্ত মোট ১২ কোটির ব্যবসা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ট্রেড আ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ রবিবার সকালে টুইট করে জানিয়েছেন, ‘বক্স অফিসে অসাধারণ ব্যবসা করেছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস। প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে আরও ভালো ব্যবসা করেছে। ১৩৯.৪৪% বেশি ব্যবসা করেছে। ২০২০ সাল থেকে [দ্বিতীয় দিনে] সর্বোচ্চ বৃদ্ধি… পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, বক্স অফিস চালু (আগুনের ইমোজি)ফিল্মটি অপ্রতিরোধ্য… শুক্রবার ৩.৫৫ কোটি… শনিবার ৮.৫০ কোটি। মোট ১২.০৫ কোটির ব্যবসা করেছে। ভারতীয় বক্স অফিসে দুধর্ষ ব্যবসা করছে’।
ছবিটির বিষয়বস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। ১৯৯০ সালে তাঁদের কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনার ইতিহাসের উপরেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমার, ভাষা সুম্বালি, চিন্ময় মন্ডলেকর, পুনীত ইসার, মৃণাল কুলকার্নি, অতুল শ্রীবাস্তব এবং পৃথ্বীরাজ সারনায়েক।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউ অনুযায়ী, ‘ট্র্যাজেডি সম্পর্কে বিবেক অগ্নিহোত্রীর গবেষণা ছবির প্রতিটি দৃশ্যে ফুটে উঠেছে। যদিও ছবিটি প্রায় তিন ঘণ্টার, সেক্ষেত্রে বিশেষ কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না। নন-লিনিয়ার চিত্রনাট্য আপনাকে কোনও একটি চরিত্রের গল্পে ডুবে যেতে দেয় না। পুষ্কর এবং তার পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছিল সেইটা ভেবে আপনি যখন ভয় পাচ্ছেন, ঠিক একই সময় কৃষ্ণ এবং তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সত্যতা খুঁজে পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে আপনি বর্তমানে ফিরে আসেন। কৃষ্ণের যাত্রা এবং তার পরিবারের সঙ্গে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে সত্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে গল্পে আরও দৃঢ় বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতার প্রয়োজন ছিল।’
ত্রিশ বছর আগের এক ভয়ঙ্কর রাত। যা আতঙ্কের আবহ সৃষ্টি করেছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মনে। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগ এবং হত্যাকে ঘিরে এগিয়েছে ছবির গল্প। ছবিতে অনুপম খের পুষ্কর নাথ পণ্ডিতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ভাষা সুম্বলি তার পুত্রবধূ শারদা পণ্ডিতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যার পুত্র- শিব এবং কৃষ্ণ, দুর্ঘটনার পরে ভাগ্যের পরিহাসে বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হয়। চিন্ময় ফারুক মালিক বিট্টা একজন সন্ত্রাসী এবং দেশত্যাগের পিছনে আসল পাণ্ডার চরিত্রে দেখা গিয়েছে।
ছবির প্রযোজনায় তেজ নারায়ণ আগারওয়াল, অভিষেক আগারওয়াল, পল্লবী যোশী এবং বিবেক আগ্নিহোত্রী।