‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তির পরই ছবি নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা তুঙ্গে। পরিচালক বিবেক আগ্নিহোত্রীর ছবি নিয়ে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মুখ খুলেছেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বৃহস্পতিবার ছবি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললনে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন ‘এই ছবি দেশে মিথ্যাচার এবং দেশের মধ্যে এক বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে’। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'এই জাতীয় সিনেমাকে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত হয়নি’।
এরপরই পালটা বলেন বিবেক আগ্নিহোত্রী। তিনি এনসিপি প্রধানের মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। দিন কয়েক আগেই এক ফ্লাইটে শরদ পাওয়ার তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল বিবেকের। অভিনেত্রী তথা স্ত্রী পল্লবী যোশি এবং পরিচালককে ‘পাওয়ার দম্পতি’ হিসেবে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তাঁরা। বিবেকের কথায়, ‘মিডিয়ার সমানে তাঁর কী হয়েছে জানিন না। প্রবল ভণ্ডামী সত্ত্বেও, আমি তাকে সম্মান করি।’
শারদ পাওয়ার তার দলের দিল্লি ইউনিটের সংখ্যালঘু বিভাগে বক্তব্য রাখাকালীন বলেন, ‘এই জাতীয় সিনেমা প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া উচিত হয়নি। এটিকে ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং যারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য দায়ী তারা লোকেদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টিকারী সিনেমা দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে।’
পাওয়ার বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার যদি সত্যিই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিষয়ে চিন্তা করে, তবে তাদের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রচেষ্টা করা উচিত। সেই সঙ্গে সিনেমার প্রচারের জন্য বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। কাশ্মীর বিতর্কে জওহরলাল নেহরুকে টেনে আনার জন্যও বিজেপির সমালোচনা করেছেন পাওয়ার। তিনি বলেন, যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ত্যাগ করতে হয়েছিল, তখন ভিপি সিং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং জওহরলাল নেহরুর নাম কোনও কারণ ছাড়াই বিতর্কে টেনে আনা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ জগমোহনের সঙ্গে মত-পার্থক্যের পরে পদত্যাগ করেছিলেন।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করার জন্যও বিজেপির নিন্দা করেছেন শরদ পাওয়ার।
বিবেক আগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ছবিতে অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমার, ভাষা সুম্বালি, চিন্ময় মন্ডলেকর, পুনীত ইসার, মৃণাল কুলকার্নি, অতুল শ্রীবাস্তব এবং পৃথ্বীরাজ সারনায়েক। ছবিটির বিষয়বস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। ১৯৯০ সালে তাঁদের কাশ্মীর থেকে উৎখাত হওয়ার ঘটনার ইতিহাসের উপরেই তৈরি হয়েছে এই ছবি।