বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য় কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এই ছবির মাধ্যমে কেরলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং দেশের জাতীয় সংহতি নষ্টের অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। আগামী ৫ই মে দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। জোর করে কেরলের হিন্দি ও খ্রিস্টান মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ এবং আইসিসে যোগদান করানোর হাড়হিম করা প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে এই ছবি। এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছেন বাম শাসিত কেরলের বিরোধি দলনেতা সাথীসান। যদিও তাঁর দলের এমপি শশী থারুর জানালেন বিতর্কিত ছবিকে 'ব্যান' করার ডাক দিচ্ছেন না তিনি।
তিরুবন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর রবিবার টুইট করেছিলেন, ‘এটা তোমার কেরলের গল্প হতে পারে কিন্তু এটা আমাদের কেরলের গল্প নয়’। সঙ্গে ছবির একটি পোস্টার শেয়ার করে নিয়েছিলেন সাংসদ। সোমবার নিজের ওই টুইটের বিস্তারিত ব্যাখা দেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘বাক স্বাধীনতা খর্ব করা যায় না কারণ সেটির অপব্যবহার হতে পারে। কিন্তু কেরলের বাসিন্দাদের এটা সজোরে বলবার অধিকার রয়েছে যে এটা মিথ্যাচার। আমাদের বাস্তবের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই’।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে দিতে এই ধরণের ছবি তৈরি হয়েছে, কেরলের বিরুদ্ধে তৈরি প্রোপাগান্ডা ছবি এটি।
তথ্যগত ভুলভ্রান্তি রয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে দাবি রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দলের। কেরল কীভাবে সন্ত্রাসবাদীদের ‘সেফ হেভেন’ হয়ে উঠেছে তা উঠে এসেছে এই ছবিতে। যা ঘিরেই বিতর্ক। কংগ্রেস নেতা ভি ডি সাথীসান জানান,'এই ছবি জুড়ে রয়েছে মিথ্যাচার। ছবির টিজারে দেখানো হয়েছে, কেরল থেকে ৩২,০০০ মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে নিয়ে তাদের সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা পুরোপুরিভাবে আমাদের রাজ্য় ও একটি ধর্মের মানুষের অপমান, আর এর পিছনে রয়েছে সঙ্ঘীদের হাত'।
আরও পড়ুন-ফাঁদ পেতে কেরলের ৩২ হাজার মেয়ের ধর্মান্তকরণ! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ব্যান করার দাবি কংগ্রেসের
ছবিতে ১০টি পরিবর্তনের পর মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছে বিপুল শাহ প্রযোজিত ‘দ্য কেরল স্টোরি’। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি এবং সিদ্ধি আদানি। আগামী ৫ই মে হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু এবং মালায়ালি ভাষায় মুক্তি পাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।