গীতিকার স্বানন্দ কিরকিরে জানিয়েছেন, থিয়েটার অভিনেতা অলোক চট্টোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে অলোকের একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর জন্য একটি বার্তাও লেখেন। অলোক ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা (এনএসডি) ব্যাচমেট ছিলেন।
অলোক চট্টোপাধ্যায়ের জন্য পোস্ট করলেন স্বানন্দ কিরকিরে
ছবিতে অলোককে একটি ফর্মাল শার্ট পরে ক্যামেরা থেকে দূরে তাকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। স্বানন্দ হিন্দি ও ইংরেজিতে পোস্টটির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘’অলোক চট্টোপাধ্যায়... এক নয়াব অভিনিতা চলে গেলেন! অলোক এনএসডি-তে ইরফানের ব্যাচমেট ছিলেন।
সঙ্গে আরও লেখেন, ‘ইরফান যদি কালিদাস হতেন তাহলে অলোক চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বিলোম! বিলোম তার কালিদাসকে দেখতে গেল! রেস্ট ইন পিস ভাই অলক’
মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় অলোকের। মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, ৬৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি। মঙ্গলবার অলোকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল।
অলোক এবং ইরফান ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত এনএসডিতে সহপাঠী ছিলেন। এই দুই অভিনেতাই সেই বছরগুলিতে অনেক নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অলোক এনএসডি-তে স্বর্ণপদকও পেয়েছিলেন। অলোক ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কারেও ভূষিত হন। তিনি মধ্যপ্রদেশ স্কুল অফ ড্রামার প্রাক্তন পরিচালক ছিলেন।
অলোক পরিচালনা করেছেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক ‘আ মিডসামার নাইটস ড্রিম’ এবং আর্থার মিলারের নাটক ‘ডেথ অব আ সেলসম্যান’। মিলারের নাটকে অভিনয়ও করেছেন তিনি। তিনি এনএসডি এবং এফটিআইআইতেও শিক্ষকতা করেছিলেন।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অলোক বলেছিলেন, ‘আমি দিল্লি গিয়েছিলাম পারফর্মার হতে। আমি যদি ছবি করতে চাইতাম, তাহলে এফটিআইআই পুণেতে যেতাম। আমি থিয়েটারের জন্য জীবনযাপন করছি।’ তিনি বলেছিলেন যে, ‘আমি এনএসডিতে পড়াশোনা করেছি, যার কারণে থিয়েটার আমার রক্তে রয়েছে। আমি বাজারে বিক্রি হওয়া চিত্রশিল্পী নই।’