শেক্সপিয়ার বলে গিয়েছেন, ‘হোয়াটস ইন এ নেম’? কিন্তু মাঝেমাঝে এই নামই অনেক সমস্যা ডেকে আনে! শুক্রবার সাতসকালেই টলিপাড়ায় মৃত্যুশোক। অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে মন খারাপের কালো মেঘ টেলিপাড়ায়। তবে অনেকেই অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর শুনে ভেবে ফেলেছেন ‘আবহমান’ খ্যাত অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন, যা একদম ভুয়ো ও ভিত্তিহীন খবর। টেলি ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অনন্যা চট্টোপাধ্যায় এদিন অকালে চলে গেলেন। যাঁকে ‘তিথির অতিথি’, ‘গাঁটছড়া’-সহ একাধিক ধারাবাহিকে দর্শক দেখেছে। আরও পড়ুন-কাছের মানুষকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সলমন, প্রয়াত ‘সনম বেওয়াফা’ পরিচালক
কিন্তু এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে এদিন ফলাও করে ‘আবহমান’ খ্যাত অনন্যার ছবি দিয়ে তাঁর মৃত্যুসংবাদ ছাপা হয়। যা দেখে কারুর চোখ ছানাবড়া তো কেউ হতবাক! কেউ কেউ আবার বাস্তবেই অভিনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। অবশেষে অনন্যা চট্টোপাধ্যায় নিজেই কলম ধরলেন। এদিন ফেসবুকেই যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অভিনেত্রী ‘ভুল শুধরে’ দেন।
নিজের মৃত্যুর খবর দেখে তিনি ক্ষুব্ধ নন, বরং একজন যোগ্য অভিনেত্রীকে মৃত্যুর পরেও সম্মান না দেওয়ায় খানিক হতাশ। তিনি লেখেন, 'অনন্যাদি খুবই ভালো মানুষ ছিলেন, আমি কাজ করেছি একসঙ্গে একসময়ে। খুব হাসিখুশি। অসময়ে তার চলে যাওয়া খুব দুঃখের। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। এক সময়ে ওঁনাকে আর আমাকে নিয়ে ভীষণ কনফিউশন হত বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউজে। কিন্তু সেটা ল্যান্ডলাইনের যুগ ছিল, সোশ্য়াল মিডিয়ার যুগ নয়, মোবাইলেরও নয়। আজ আবার কিছু সংবাদমাধ্যম আমার সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলেছে। তাঁর মৃত্যুতে এই কনফিউশন বহাল থাকবে, এটা অন্যায়। এটা ঠিক নয়। তাদের ভুল আমি এখানে শুধরে দিলাম। যারা আমার জন্য উদ্বেগ করছেন, তাঁদের সকলকে জানাই যে যিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন তিনি সিনিয়র অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম'। আরও পড়ুন-প্রয়াত অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিদায়ে স্তব্ধ টেলিপাড়া
প্রয়াত অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ও প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। চলতি বছরের জুন মাসে স্বামীহারা হয়েছিলেন অভিনেত্রী, আর দু-মাসের মধ্যেই তিনিও না-ফেরার দেশে চলে গেলেন। এদিন এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর, ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। এদিন হার্ট অ্যাটাকের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর।