বলিউডের ‘কিং অফ রোম্যান্স’ বলা হয় শাহরুখ খানকে। পর্দায় অজস্র নায়িকার সঙ্গে জমেছে শাহরুখের প্রেম। কিন্তু দর্শক মনে শাহরুখ-কাজল জুটির একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। বাজিগর-এর হাত ধরে শুরু হয়েছিল দুজনের সফর, যদিও তা আইকনিক জুটি হয়ে ওঠে ডিডিএলজে-র হাত ধরে।
অন্যদিকে করণ জোহরের পরিচালক হিসাবে সফর শুরুই হয়েছিল শাহরুখ-কাজল জুটির হাত ধরে। পরিচালকের ২৫ বছরের কেরিয়ারে পূর্ণাঙ্গ দৈর্ঘ্যের ফিচার ছবির সংখ্যা মাত্র ৭টি, যার মধ্যে তিনটির কেন্দ্রে থেকেছেন শাহরুখ-কাজল।
করণের কেরিয়ারের সবচেয়ে প্রিয় দৃশ্যটিও যে শাহরুখ-কাজলকে ঘিরেই হবে তা সন্দেহের অবকাশ রাখে না। পরিচালক-প্রযোজক ২০১০ সালে শাহরুখ খান ও কাজল অভিনীত 'মাই নেম ইজ খান' নির্মাণের স্মৃতি তুলে ধরেন।
করণ জোহরের প্রিয় দৃশ্য
তাঁর ইনস্টাগ্রামে মাই নেম ইজ খান থেকে একটি আবেগঘন ক্লিপ শেয়ার করেছেন ধর্মা কর্ণধার। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কেন এটি তাঁর হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। তিনি লেখেন, যখন তিনি তাঁর কেরিয়ারের কথা ভাবেন, তখন শাহরুখ এবং কাজলের অভিনীত হাসপাতালের দৃশ্যটি তাঁকে আবেগঘন করে তোলে।
করণ লেখেন, ‘২৬ বছর ধরে সিনেমা পরিচালনা করছি। আমি আমার পরিচালনার কেরিয়ারের দিকে ফিরে তাকাই বহু আবেগ এবং অমোচনীয় স্মৃতির ট্রাক বোঝাই ... আমি আমার ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তা করি... সেই সুখী দুর্ঘটনা যা জাদুকরী মুহুর্ত তৈরি করেছিল … ঘটনাস্থলে নেওয়া সিদ্ধান্ত যা সঠিক নিশানায় লেগেছিল বা হয়ত মূহূর্তেই হারিয়ে গিয়েছিল ... তবে এই বিশেষ দৃশ্যটিতে শাহরুখ ও কাজল সুন্দরভাবে অভিনয় করেছিলেন তা আমার ক্যারিয়ারের প্রিয় পরিচালিত দৃশ্য এবং মুহূর্ত হয়ে থাকবে।’
তাঁর শেয়ার করা ক্লিপে শাহরুখের চরিত্র রিজওয়ান তাঁর স্ত্রী মন্দিরাকে (কাজল) ফেটে যাওয়া প্লীহা ব্যাখ্যা করছেন। এরপর মন্দিরা রিজওয়ানকে জানায়, তাঁদের ছেলে সমীর মারা গেছে। মৃত্যুর সময় রাত ৮টা বেজে ৫ মিনিট।
ভক্তদের চোখেই শাহরুখ-কাজল জুটির 'সেরা চলচ্চিত্র' এটি। তিনি বলেন, 'এটি শাহরুখ ও কাজলের এখনও পর্যন্ত অন্যতম সেরা সিনেমা। অনেকেই জানিয়েছেন, অল্প বয়সে এই ছবির অর্ন্তনিহিত অর্থ বোঝা সম্ভব হয়নি। তবে এখন এই ছবি আলাদাই একটা জায়গা করে নিয়েছে মনে। অনেকের চোখে এটা করণের কেরিয়ারের মাস্টারপিস। বহু ভক্ত আবদার করেছেন, করণের ছবিতে আরও একবার এই জুটিকে দেখতে চায় তাঁরা। প্রসঙ্গত, শেষবার রোহিত শেট্টির দিলওয়ালে ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে শাহরুখ-কাজলকে।
মাই নেম ইজ খান
অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত একজন মুসলিম ব্যক্তি, রিজওয়ানের জার্নির কথা বলে মাই নেম ইজ খান। মার্কিন মুলুকে গিয়ে সিঙ্গল মাদার মন্দিরার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব, বিয়ে এবং তাঁর দত্তক পুত্রের মৃত্যুর পর মার্কিন রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ভ্রমণ করে রিজওয়ান। ৯/১১ হামলার পর মার্কিন মুলুক-সহ পশ্চিমী দুনিয়ায় যে বৈষম্যের শিকার হয়েছিল মুসলিমরা তার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি।