সলমনের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় মাস খানেক আগে কেঁপে উঠেছিল শহর মুম্বই! ১৪ই এপ্রিল কাকভোরে সলমনের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানে রয়েছে সলমন খানের জবানবন্দি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশকে ঠিক কী জানিয়েছেন অভিনেতা সামনে এল সবটা।
সলমনের বিশ্বাস লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এপ্রিল মাসে তাঁর বাড়িতে গুলি চালানোর জন্য দায়ী ৷ অভিনেতা বলেছেন ১৪ এপ্রিল ভোরে গুলির শব্দেই ঘুম ভাঙে তাঁর। চমকে উঠেছিলেন সলমন, পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন এই ভাবনায় হতচকিত হন ভাইজান।
‘লরেন্স বিষ্ণোই খুনের ছক কষেছে’
ভোর ৪টে ৫৫ মিনিট নাগাদ অভিনেতার দেহরক্ষী তাঁকে জানান, একটি মোটরবাইকে করে আসা দু'জন ব্যক্তি দোতলার ব্যালকনিতে গুলি চালিয়েছে। সলমন আরও জানান, এর আগেও তার ও তার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর দেহরক্ষী বান্দ্রা থানায় গুলি চালানোর বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে তিনি জানতে পারেন, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তার ভাই আনমোল বিষ্ণোই ফেসবুক পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এর আগেও সলমন ও তাঁর আত্মীয়দের হত্যার হুমকি দিয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাং। সিকান্দার অভিনেতা তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে লরেন্স বিষ্ণোই তার দলের সদস্যদের সহায়তায় গুলি চালিয়েছিল যখন আমার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিল এবং (তারা) আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পরিকল্পনা করছিল’। তিনি পুলিশকে বলেছিলেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তিনি এবং তার পরিবার আরও বেশ কয়েকটি হুমকি পেয়েছেন।
সলমনকে হুমকি মেইল পাঠান লরেন্স বিষ্ণোই
২০২২ সালে সলমনের বিল্ডিংয়ের উল্টোদিকের একটি বেঞ্চে একটি হুমকি চিঠি পাওয়া যায়। অভিনেতার মতে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একটি হুমকি ইমেল পেয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে পানভেলের কাছে তাঁর ফার্মহাউসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
সলমন আরও উল্লেখ করেছেন যে এই মাসের শুরুতে পুলিশ মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট মামলার বিশেষ আদালতে গুলি চালানোর মামলায় ১,৭৩৫ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছিল। আদালত সম্প্রতি চার্জশিট গ্রহণ করে বলেছে, গ্রেফতার হওয়া ছয় আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
ধৃতরা হল ভিকিকুমার গুপ্তা, সাগরকুমার পাল, সনুকুমার বিষ্ণোই, অনুজকুমার থাপন (বর্তমানে প্রয়াত), মহম্মদ রফিক চৌধুরী এবং হরপাল সিং। গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেন অনুজকুমার। বাকি পাঁচজন বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।