চর্চায় 'দ্য কেরালা স্টোরি', ছবিতে উঠে এসেছে কেরালায় হিন্দু ও ক্রিশ্চান মহিলাদের ইসলামে ধর্মন্তকরণের বিষয়। আর সেকারণেই গোটা দেশে বিতর্কের মুখে সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। তামিলনাড়ু, কেরালা, বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই ছবি। আবার তেমনই মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য এই ছবি করমুক্ত। এবার বিতর্কিত এই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা অনুপম খের।
ঠিক কী বললেন অনুপম খের?
তাঁর কথায়, 'যাঁরা দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বিরোধিতা করছেন, তাঁদের মুখগুলো চেনাচেনা লাগছে। এরাই একসময় দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর বিরোধিতী করেছিল। অনেকে আবার এগুলোকে প্রোপাগান্ডা ছবিও বলেছেন। আসলে এধরনের ছবির প্রতিবাদ, কিংবা সিএএ, শাহিনবাগ, জেএনইউ-এর প্রতিবাদ যাঁরা করেন, তাঁরা আসলে একই মুখ। এদের উদ্দেশ্য কী আমি তা জানি না, এদের দিকে মনোযোগ দিতেও চাই না, এঁরা আসলে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছেন।'
আরও পড়ুন-বাংলায় নিষিদ্ধ, মধ্যপ্রদেশের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও করমুক্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
আরও পড়ুন-শৈশবের ট্রমা, যৌন দৃশ্যে স্বচ্ছন্দ নই, অডিশন ছেড়ে বের হয়ে আসি, বলছেন জামিলা জামিল
আরও পড়ুন-শ্বাস নিতে অসুবিধা হত, হাঁপিয়ে যেতাম, মাটিতে বসলে উঠতে পারতাম না: অকপট ঋতাভরী
সুদীপ্ত সেনের এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সিদ্ধি ইদনানি এবং সোনিয়া বালানির মতো অভিনেতারা। ছবির গল্পে দেখা যায়, রাজ্য থেকে ৩২,০০০ মেয়ে নিখোঁজ হয়েছেন এবং পরে তাঁরাই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, আইএসআইএস-এ যোগ দিয়েছেন। তাঁদের ছলে বলে কৌশলে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সোমবারই পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এরাজ্যে কোনও ঘৃণা কিংবা হিংসামূলক ঘটনা ছড়িয়ে পড়ুক এটা তিনি চান না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ যে যব দৃশ্য এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে তা রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক’।
এদিকে অনুপম খেরের মতোই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বিরোধিতা সরব অভিনেত্রী শাবানা আজমি। তাঁর কথায়, ‘বেশকিছুদিন আগে আমির খানের #Laal Singh Chaadha নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন কিছু লোকজন, এবার যাঁরা #The Kerala Story নিষিদ্ধ করার কথা বলছেন, তাঁরা ঠিক একই ভুল করছেন। একবার কোনও ছবি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন দ্বারা পাশ হয়ে গেলে, সেটা আটকানোর সাংবিধানিক অধিকার কারোর নেই।’