বিভিন্ন ধরনের পুজো, বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ ইত্যাদির কথা শোনা গিয়েছে। বাঙালিদের নানা পুজোতেও নানা সময় মাছ দেওয়া হয় ঈশ্বরকে। পাঁঠার মাংসও নিবেদন করা হয়। কিন্তু তাই বলে কোথাও লক্ষ লক্ষ মানুষ কেবল ভিড় জমান মাছের প্রসাদ খেতে! কোথায় ঘটে এই ঘটনা?
আরও পড়ুন: 'জলদি আসছি...', ফের বড়পর্দায় বাপ - বেটা একসঙ্গে! কবে কোন প্রজেক্টে দেখা যাবে অমিতাভ - অভিষেককে?
হায়দরাবাদের বহু মানুষ এই মাছের প্রসাদ খান বছরের এই সময়টায় এবং বিশ্বাস করেন যে এটা অ্যাস্থমা সারিয়ে দেয়। তেলুগুর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই প্রসাদের টানে ছুটে আসেন। মূলত শ্বাসকষ্টের রোগীরা। জুন মাসে তাঁরা এই প্রসাদ গ্রহণ করেন এই আশায় যে তাঁদের শ্বাসকষ্ট সেরে যাবে।
আরও পড়ুন: ২৮ মিলিয়ন ভিউজ থাকা সত্বেও চাহাত ফতেহ আলি খানের বাদো বাদি সরিয়ে দিল ইউটিউব! কিন্তু কেন?
কারা এই মাছের প্রসাদ বিলি করেন?
বৈঠিনি গৌড় পরিবারের সদস্যরা এই মাছের প্রসাদ বিলি করেন। এটি কে অনেকেই বিস্ময়কর ওষুধ বা মৃগসিরা কার্তিও বলে থাকেন। বর্ষা ঢোকার ঠিক মুখে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতি বছর এই প্রসাদ দেওয়া হয়। বিনামূল্যে বৈঠিনি পরিবারের তরফে এই মাছের প্রসাদ বিলি করা হয়। জানা গিয়েছে প্রতি বছর তাঁরা প্রায় ৫০০ কিলোর বেশি প্রসাদ বানান।
গত ১৭৮ বছর ধরে এই পরিবারের তরফে এই মাছ বিলি করা হয়ে থাকে। ১৮৪৫ সালে নাকি এক সাধু তাঁদের পরিবারের একজনকে এই ওষুধের কথা বলেছিলেন একটাই শর্তে যে বিনামূল্যে এটা মানুষকে দিতে হবে। সেই থেকে নাকি চলে আসছে এই প্রথা।
কী বলা হয় এই প্রসাদের উপকার সম্পর্কে?
যাঁদের অ্যাস্থমা আছে তাঁরা যদি এই জ্যান্ত শোল মাছ হলুদ মাখিয়ে গিলে খান এই সময় তাও পর পর তিন বছর ধরে তাহলে অ্যাস্থমা সেরে যায়। আর যাঁরা নিরামিষাশী তাঁরা গুড় দিয়ে জ্যান্ত এই মাছ গিলে খান।