ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা টিকু তালসানিয়া। হাসপাতাল সূত্রে খবর অভিনেতার অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। যদিও হাসপাতালের তরফে এর থেকে বেশিকিছু জানানো হয়নি। বর্তমানে অভিনেতার বয়স ৭০ বছর। বর্তমানে কৌতুকাভিনেতা মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দিল হ্যায় কি মানতা নেহি (১৯৯১), 'কাভি হাঁ কাভি না' (১৯৯৩), আন্দাজ আপনা আপনা (১৯৯৪), স্পেশাল ২৬ (২০১৩) এবং 'ইশক' (১৯৯৭)-এর মতো বহু ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেতা টিকু তালসানিয়া। তবে তাঁর অভিনেতার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল টেলি ধারাবাহিকের হাত ধরে। টিকু অভিনীত প্রথম হিন্দি ধারাবাহিক ১৯৮৪ সালে ‘ইয়ে জো হ্যায় জ়িন্দেগি’। এর ঠিক ২ বছর পরে, ১৯৮৬ সালে মোট তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘পেয়ার কে দো পল’, ‘ডিউটি’, আর ‘অসলি নকলি’, আ ছবিতে কাজ করার পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার একটি সিনেমা দেখার পর থেকে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন অভিনেতা। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘অভিনেতা বমি করতে শুরু করেছিলেন এবং তাঁকে দ্রুত একটি হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
টিকু তালসানিয়ার সিনেমা
‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ (১৯৯১), ‘কাভি হাঁ কাভি না’ (১৯৯৩), এবং ‘ইশক’ (১৯৯৭) এর মতো ছবিতে কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ (১৯৯৩), ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ (১৯৯৪), ‘কুলি নং ১’ (১৯৯৫), ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ (১৯৯৬), ‘জুড়ওয়া’ (১৯৯৭), ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ (১৯৯৮), ‘রাজু চাচা’ (২০০০), ‘হাঙ্গামা’ (২০০৩), এবং ‘ধামাল’ (২০০৭), স্পেশাল ২৬ (২০১৩) এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০০২ সালে সঞ্জয়লীলা বনশালির পিরিয়ড ড্রামা ‘দেবদাস’-এ তিনি একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেটি অবশ্য কৌতুক চরিত্র ছিল না।।
টিকুর মেয়ে শিখা তালসানিয়াও একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং তিনি "সত্যপ্রেম কি কথা', ‘বীরে দি ওয়েডিং’ মতো সিনেমা এবং ‘পটলাক’-এর মতো ওয়ের সিরিজে অভিনয় করেছেন। টিকুকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা’ ভিডিওতে, যেখানে রাজকুমার রাও এবং তৃপ্তি দিমরিও অভিনয় করেছিলেন। যেটি কিনা গত বছর এটি মুক্তি পায়।