নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর লাগাতার ভোটপ্রচার চালিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়টা তিনি বিন্দুমাত্র বিশ্রাম পাননি বললেই চলে। অবশেষে ২০মে, সোমবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এবার অপেক্ষা ভোটের ফলাফলের। ফল ঘোষণারর দিনই লেখা হবে রচনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
তবে ভোট নিয়ে ব্যস্ততার মাঝে দিদি নম্বর ওয়ান-এর শ্যুটিংও সেরেছেন রচনা। কারণ, ভোটের জন্য তো আর 'দিদি নম্বর ওয়ান' বন্ধ থাকেনি। জনপ্রিয় এই শো নিয়মিত সম্প্রচার হয়ে চলেছে। সম্প্রতি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সোশ্যাল মিডিয়ার উঠে এসেছে দিদি নম্বর ওয়ান-এর সাম্প্রতিক প্রমো। যেখানে হাজির হুগলির বাসিন্দা রিঙ্কু দে। রচনাকে রিঙ্কু জানান, তাঁর লড়াইয়ের গল্প। জানান, তিনি কীভাবে মশলার ব্যবসা শুরু করেন। পরে তাঁর স্বামীকে সেই ব্যবসায় নিযুক্ত করেন।
রিঙ্কু জানান, তাঁর মেয়ে যখন ৯ মাসের তখন তাঁর স্বামীর টিবি ধরা পড়ে। তিনি তখন মেয়েকেও সামলেছেন, সংসারও চালিয়েছেন। প্রথম ৫০০ কাজু আর ১ কেজি কিসমিস নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। এখন হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন দোকানে মশলা সরবরাহ করেন তাঁরা। রিঙ্কু জানান, শেওড়াফুলি, ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটী এমনকি কলকাতার রাজারহাটেরও বিভিন্ন দোকানে তাঁরা মশলা সরবরাহ করেন।
তবে ভিডিয়োতে রিঙ্কুর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় তিনি মূলত হুগলির বাসিন্দা। আর সে বিষয়টি নজর এড়ায়নি নেটনাগরিকদের। তখনই কেউ কেউ রচনাকে ট্রোল করা শুরু করেন। নেটনাগরিকদের অনেকেই অভিযোগ করেন, ‘ঠিক খুঁজে খুঁজে হুগলf থেকে ধরে এনেছে ভোটার গুলোকে’। তবে দিদি নম্বর ওয়ানের এই পর্বে হাজির ছিলেন আরও দুই প্রতিযোগী, যদিও তাঁরাও হুগলি থেকে এসেছিলেন কিনা এখনও তা স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকে প্রার্থী হিসাবে প্রচারের সময় বিভিন্ন রচনার বিভিন্ন মন্তব্য ঘিরে চর্চা হয়েছে। এরই মাঝে বেগমপুরের হাটতলার বসন্ত উৎসবে গিয়ে রচনা বলেছিলেন, 'আমি যদি এখান থেকে জিততে পারি তাহলে জি বাংলার কর্তৃপক্ষকে বলব যাতে হুগলি জেলার দিদির আগে ডাকা হয়। আমি ওদের বলে দেব যে আমায় যদি দিদি নম্বর ওয়ান করে রাখতে চাও তাহলে হুগলি জেলার যে দিদিরা আমায় ভোট দিয়ে নির্বাচনে জয়ী করেছে তাঁদের আগে ডাক। তারপর বাকি সবাই আসবে।'
রচনার এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতির মহলে তীব্র আলোচনা হয়েছিল। রচনার এমন কথার তীব্র বিরোধিতা করেছেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কোনও রাজনৈতিক দল যে কেন এমন কাউকে প্রার্থী করল যার বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই কে! হুগলির মানুষ এত বোকা নয় যে কোনটা রাজনীতি আর কোনটা অভিনয় বুঝবে না। তাঁরা যথেষ্টই শিক্ষিত।'
তবে দিদি নম্বর ওয়ান-এর সাম্প্রতিক পর্বে আবারও হুগলির প্রতিযোগীকে দেখে আরও একবার রচনার সেই 'হুগলির দিদিদের' মন্তব্য নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে।