তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য আরজি কর নিয়ে প্রথম থেকেই দলের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা অপরিসীম। এবার ডাক্তারদের বিঁধলেন তিনি নচিকেতার ‘ও ডাক্তার’ গানটি দিয়ে। তিনি লিখলেন, ‘নচিকেতার গানের অংশ... আজ বড্ড প্রাসঙ্গিক!’
যদিও পরে স্পষ্ট করে দেন, ‘যদিও সব ডাক্তারের ক্ষেত্রে এই গান প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি না। এখনো এমন বহু ডাক্তার আছেন যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময় হলেও রোগীদের প্রাণ বাঁচান। আমাদের কাছে তারা ঈশ্বর..’। গায়ক নচিকেতার সেই গানের লাইনে রয়েছে, ‘সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ, আসলে তো তোমরাই করছ শেষ/হাসপাতাল না থাকলে জনগণ নার্সিং হোমো যাবে অবশেষ। সেখানে জবাই হবে, উপরি কামাই হবে/মানুষের সেবার কী দরকার।’
আর এই গানের ভিডিয়োটাই ফেসবুকে শেয়ার করলেন দেবাংশু। যাতে এখজন মন্তব্য করেছেন, ‘সন্দীপ ঘোষ-সহ অভিযুক্ত ডাক্তাররা অতীতে একদিন আদর্শবাদী জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন! বর্তমান জুনিয়র ডাক্তারদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য কি? এদের মধ্যেই কেও কেও আবার সন্দীপ ঘোষ হয়ে উঠবে না তার গ্যারেন্টি কে দেবে? ঘটনায় অভিযুক্ত তো সেই ডাক্তাররাই! জুনিয়র ডাক্তার সিনিয়র ডাক্তারদের অভিযুক্ত করছে! আমার কি? আমি তিলোত্তমার বিচার চাই!’
দ্বিতীয়জন লেখেন, ‘ডাক্তারদের ব্ল্যাকমেইল করার ক্ষমতা প্রায় অসীম। দ্রুত সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার সুযোগ খুব বেশি। তারওপর অর্থবান শ্রেণী। অধিকাংশের পরিবারে আরও ডাক্তার আছে। ফলে সাহায্য পাওয়ার সুযোগ অন্য সব শ্রেণীর চেয়ে বেশি। সমাজের আর কোন শ্রেণীর এত চাপ তৈরি করার ক্ষমতা নেই। ছোটলোকদের তো থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই সহজ নয়।’
তৃতীয়জন লিখলেন, ‘নচিকেতার ঐ চোর চোর গানটা অসম্ভব ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিল কিন্তু। অসাধারণ জ্যোতিষ উনি। শোনাবে নাকি?’ চতুর্থজন লেখেন, ‘ডক্টররা ভীষণ খারাপ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে ফুলে ফেঁপে ওঠা সামান্য কাউন্সিলারই হলো সমাজের সম্পদ।’