তৃণমূলের ফায়ার ব্র্যান্ড ছাত্রনেত্রী তিনি, নাম রাজন্যা হালদার। গত বছর ২১-এর সভামঞ্চ থেকে গোটা বাংলার নজর কেড়েছিলেন সোনারপুরের এই মেয়ে। বেশকিছুদিন ধরেই চর্চায় রয়েছেন এই রাজন্যা। সৌজন্যে তাঁর সিলভার স্ক্রিনে পা রাখার খবর। ‘১৯৪৫ : বিহাইন্ড দ্য মাউন্টেনস’ ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। তবে শুধু অভিনয় নয়, এবার মাইক হাতেও ঝড় তুললেন রাজন্যা।
সম্প্রতি গানের মঞ্চে 'জামাল কুদু' গেয়ে ঝড় তুলেছেন তৃণমূলের এই তরুণতুর্কি। নন্দীগ্রাম পল্লি উৎসবে গান গাইতে দেখা গিয়েছে রাজন্যাকে। কখনও গেয়েছেন 'জামাল কুদু'র মতো ভাইরাল গান, কখনও আবার সম্পূর্ণ বিপরীত ধারায় হেঁটে লোকগীতি গেয়ে মন ভরিয়েছেন রাজন্যা। রাজনীতি, অভিনয়, গান, কীভাবে সবটা একসঙ্গে সামলাচ্ছেন রাজন্যা?
এবিষয়ে এই সময়কে রাজন্যা হালদার জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা এবং গান একসূত্রে দেখা। সেটা ছিল ২০১৯ সাল, CAA, NRC-র প্রতিবাদে শহিদ মিনারে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। তাঁদের সেই মঞ্চে এসে হাজির হল মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রথম তৃণমূল সুপ্রিমোকে গান শোনান রাজন্যা। সেই গান মন কেড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। বরবরই গান, শিল্প ও শিল্পীদের কদর করার সুনাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মুখ্যমন্ত্রীকে গান শোনানোর দিনের কথা মনে করে রাজন্যা এইসময়কে বলেন, সেদিনই তিনি ইন্দ্রনীল সেনকে বলেছিলেন যদি তরুণদের নিয়ে কোনও ব্যান্ড তৈরি করা যায়। তারপর কোনও কারণে সেটা তখন হয়ে ওঠেনি। পরে দিদি নিজেই ২০২৩ সালে যখন ধর্না হয়েছিল তখন জয়ী ব্যান্ড তৈরি করেছিলেন বলে জানান রাজন্যা। অর্থাৎ তিনি রাজনীতি, গানকে একসুতোয় বাঁধার চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করছেন। আর সেই সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে অভিনয়ও। অর্থাৎ রাজনীতি-গান-অভিনয়, এই তিন ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ বিচরণ। রাজনীতিবিদ হতে গেলে গুরুগম্ভীর ভাবমূর্তি তৈরি করতে হবে, এই প্রথাতে তিনি বিশ্বাসী নন। সেকথা রাজন্যা হালদারের কথাতেই স্পষ্ট।
এদিকে এবার লোকসভা নির্বাচনে আবারও একবার প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও নবীনদের উদ্যোম, এই দুই অস্ত্রকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। সেক্ষেত্রে তরুণতুর্কি রাজন্যার কাঁধে কি বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে দল?
এবিষয়ে রাজন্যা জানান, ‘আমাকে যে ভূমিকায় আগে দেখা গিয়েছে, এবারও সেই ভূমিকায় দেখা যাবে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য ময়দানের কর্মসূচিতে থাকব, মানুষের পাশে থাকব।’