আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ৩৪ দিন অতিক্রান্ত। সুবিচারের দাবি তুলে পথে নেমেছে গোটা বাংলা। এমন জনরোষ আগে কবে দেখেছে বাংলা? আট থেকে আশি সকলে সামিল হয়েছেন এই প্রতিবাদে। বাংলার শিল্পীমহলও পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে এই ঘটনায়। কিন্তু শিল্পীরা কাজে ফিরতেই পড়তে হয়েছে কটাক্ষের মুখে। উঠছ ছবি বয়কটের ডাক, জুটেছে চটিচাটা তকমা। কিংবা কেউ আবার ‘রাম, বাম’ বলে দাগিয়ে দিয়েছে।
এবার রোষের মুখে পড়লেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। পুজোর গান রেকর্ড করায় কটাক্ষের মুখে পড়লেন বাবুল। এতেই ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক। রাজনীতিবিদের পাশপাশি মনেপ্রাণে একজন শিল্পীও।
শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিতে কটাক্ষের জবাব দিলেন বাবুল। চিঠিতে অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা এবং বিনোদন জগতের সঙ্গে মানুষজনের কাজে ফেরা নিজে যাঁরা ট্রোল করছেন তাঁদের জন্য বাবুল লেখেন, ‘একটা কথা বুঝে নিন, যদি এই শিল্পীদের নম্বর থাকে তাহলে তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ করুন। আর যদি আপনাদের কাছে তাঁদের ফোন নম্বর না থাকে, আপনারা যদি তাঁদের না চেনেন তাহলে নিজেদের মতো করে ভেবে নিয়ে নিন্দা ও কুমন্তব্য করা বন্ধ করুন।’
বাবুল এরপর যোগ করেন,'আমরা সবাই অপরাধী/অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড চাই। আরজি করের মতো ঘটনার নেপথ্যে থাকা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কিন্তু আমরা সফট টার্গেট বলেই আমাদের (বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্ব) হেনস্থা করবেন না। আমরা গান গেয়ে/ অভিনয় করে/ মনোরঞ্জন করে আয় করি।'
ওই পোস্টেই বাবুল জানান, একটি নামী দুর্গা পুজো কমিটির জন্য এই বছরের থিম সিং তিনি রেকর্ড করেছেন। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই তারকা বিধায়ককে কটাক্ষের শিকার হতে হয়। তিনি আরও বলেন, এক দুধ বিক্রেতা, সাফাই কর্মী বা ডেলিভারি পার্সন যেভাবে খেটে নিজেদের রুজি-রুটি জোগাড় করেন, শিল্পীরাও সেভাবেই পরিশ্রম করে রোজগার করেন। তিনি লেখেন, ‘তাই শিল্পী বা অভিনেতারা কাজ না করলে, শো বন্ধ করে দিলে তাঁদের উপার্জনও বন্ধ হয়ে যাবে।’