আরজি করের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা দেশ। চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে শুরুর দিকে তৃণমূলের মহিলা বিধায়ক-সাংসদদের নীরবতা নিয়ে বেজায় চটেছে মানুষ। মমতার সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছিলেন সায়ন্তিকা। এরপর নিজের বিধানসভা এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন অভিনেত্রী। অথচ বরাহনগরের বিধায়ককে তুমুল ট্রোলের মুখে পড়তে হয়।
স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে ‘আগুনের পরশমণি’ গানে গিটারে সঙ্গত করতে যান সায়ন্তিকা। সেই ভিডিয়ো নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হাসাহাসি। কেউ নায়িকার গিটার বাজানোর ধরণকে একহাত নেন, কেউ প্রশ্ন তোলেন রবীন্দ্র সঙ্গীতে গিটারের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। লাগাতার ট্রোলিং-এ বিরক্ত নন সায়ন্তিকা। তিনি বলছেন, ‘যারা ট্রোল করেছেন, তার মানে নিশ্চয়ই তাঁরা আমাকে নিয়ে ভাবছেন! আমি এতেই খুশি।’ সায়ন্তিকা কিন্তু আগেও বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গিটার বাজানোর ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী বলেন, 'ট্রোলারদের আরও বুদ্ধিমান হওয়া উচিত। আজও ধর্নামঞ্চে আবার গিটার বাজাব।' সায়ন্তিকা জানান, আসল-নকলের ফারাক দর্শককে বুঝতে শিখতে হবে। তাঁকে ট্রোল করতে ওই ভিডিয়োর ব্যাকগ্রাউন্ডে ঢিনচ্যাক মিউজিক জুড়ে অনেকেই ভাইরাল করছেন, সেই প্রসঙ্গেই একথা জানান সায়ন্তিকা। সায়ন্তিকার যুক্তি তিনি শিল্পী, তাই গিটার বাজিয়েই তাঁর প্রতিবাদ।
প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে সায়ন্তিকার একমাত্র দাবি, ‘মেয়েটির বাবা-মা আজ সর্বহারা, আমাদের একটাই দাবি যে বা যারা দোষী, তাদের ফাঁসি হোক’। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধিদের ‘মমতা সরকার উলটে’ দেওয়ার দাবি নস্যাৎ করে সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, ‘আগে ওরা নিজেরা নির্বাচিত হয়ে আসুক, তারপর তো মমতার সরকার উলটে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে ফেক নিউজ ছড়িয়ে কী হবে? সত্যিটা সত্যিই থাকবে’। মিডিয়াকে কিনে নিয়ে বিরোধিরা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তিকা।