অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা, তার উপর জনপ্রতিনিধি হিসাবে হাজারো দায়িত্ব, এর ফাঁকে প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করবার ফুরসত বার করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেবের কাছে। ছেলেবেলার একটা দীর্ঘ সময় দেব কাটিয়েছেন চন্দ্রকোণায়, এখানেই তার মামারবাড়ি। আর বুধবার ভোট প্রচারের ফাঁকে আট বছর পর মামার বাড়িতে হাজির হলেন তারকা সাংসদ। ভাগ্নেকে কাছে পেয়ে আপ্লুত মামাও।
এদিন চন্দ্রকোণার তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে এসেছিলেন ঘাটালের সংসাদ। মামার বাড়ির প্রায় দরজায় এসে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি দেব। ঘুরে গেলেন মামার বাড়ি থেকে। এদিন হেলিকপ্টার থেকে নেমে সোজা মামারবাড়ি পৌঁছান তারকা। দেবের মামা, নারায়ণ মুখোপাধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার রাতেই নারায়ণবাবু ইঙ্গিত পেয়েছিলেন ভাগ্নের চন্দ্রকোণায় আসবার। সেইমতো প্রস্তুতিও সেরে রেখেছিলেন।
জানা গিয়েছে ২০১৩ সালে শেষবার মামারবাড়ি এসেছিলেন দেব। তারপর লম্বা বিরতি। আট বছর পর ভাগ্নেকে কাছে পেয়ে আদরযত্নে ভরিয়ে দিলেন মামিমা মিতা মুখোপাধ্যায়। নিজের হাতে রান্না করে দেবকে খাওয়ালেন। ছিল এলাহি আয়োজন। মেনুতে ছিল -সাদা ভাত, শাকভাজা, আলুভাজা, উচ্ছেভাজা, পোস্তর বড়া, বেগুনভাজা, পটলভাজা, সোনামুগের ডাল, নবরত্ন, মাটন, চিকেন ও রুটি। শেষ পাতে দই, মিষ্টি আর ফলের চাটনিতে দেবের মিষ্টিমুখ করালেন মামা-মামিমা। দেবের মামিমা মিতাদেবীর কথায়, রুটি আর চিকেন দেব সবথেকে বেশি পছন্দ করেন, যদিও এদিন সব খাবারই অল্প অল্প খেয়েছেন তিনি।
দেবের আগমনে খুশির বন্যা চন্দ্রকোণার মুখার্জি বাড়িতে। দেবের মামারা পাঁচ ভাই, এদিন বড়মামা নারায়ণবাবুর বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া সারলেন দেব। তবে অন্য সকল মামা-মামিরাই হাজির ছিলেন। পৌঁছেছিলেন দেবের তুতো ভাই-বোনেরাও। দীর্ঘদিন পর প্রিয় দাদাকে কাছে পেয়ে একসঙ্গে আড্ডায় ভাসল ভাই-বোনেরা, চলল সেলফি, গ্রুফফি পর্বও। মাত্র ঘণ্টাদুয়েকই মামারবাড়িতে ছিলেন দেব,কারণ ফের ভোট ময়দানে ফিরতে হবে। কিন্তু তাতে কী? এইটুকু সময়ের জন্যই ভাগ্নেকে কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা নারায়ণবাবু ও তাঁর গোটা পরিবার। মামা-মামিমাদের আর্শীবাদ নিতেও ভোলেননি দেব, ঢিপ করে প্রণামটাও সেরে এসেছেন তিনি।