আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদীদের মিছিলে সামিল হতে গিয়ে সম্প্রতি গো-ব্যাক স্লোগান শুনেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে শুধু গো-ব্যাক স্লোগান নয়, ৪ সেপ্টেম্বর,বুধবার শ্যামবাজার ৫মাথার মোড়ে রীতিমতো হেনস্থার মুখে পড়তে হয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ঘটনার পর ঋতুপর্ণার প্রতিক্রিয়া ছিল তিনি 'স্তম্ভিত, কম্পিত ও লজ্জিত'।
এই ঘটনার পর টলিপাড়ার অনেকেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্য়ায় সহ টলিপাড়ার অনেকেই। আর এবার এবার ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়ালেন তাঁর একসময়ের সহকর্মী তথা বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
হেনস্থার ঘটনার পর ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে এবার শতাব্দী বললেন, ‘গেলেও দোষ, না গেলেও দোষ। একজন শিল্পী যদি কোনও আন্দোলনে যোগ দেন, তখন তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আর যদি না যান, তাহলে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বোঝা উচিত, যাঁরা এধরনের আচরণ করছেন তাঁরা আসলে কী চাইছেন!’
শতাব্দী রায়ের কথায়, যে আচরণ শিল্পী এবং সাধরণ নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত আনে, তা গ্রহণযোগ্য় নয়। শতাব্দী রায় আরও বলেন, 'প্রতিবাদ বা আন্দোলন হল গণতান্ত্রিক অধিকার, তবে সেই অধিকার ব্যবহারে একজন শিল্পী বা কোনো ব্যক্তিকে হেনস্থা করা কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। আমাদের সকলেরই উচিত, একজন নাগরিক হিসেবে তার মত প্রকাশের অধিকারকে সম্মান করা।'
এর আগে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে হেনস্থার ঘটনায় এক আগে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। তিনি নিজের X হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত গিয়েছিলেন প্রতিবাদীদের সঙ্গে সামিল হতে। তাঁকে শ্লোগান দিয়ে, কুকথা বলে, অপমান করে, কার্যত লাঞ্ছনার মধ্যে ফেলে তাড়ানো হল। কারা করল? সাধারণ নাগরিকসমাজ এটা করতে পারেন না। ন্যায্য আবেগের আড়ালে কারা অন্যায্য আচরণে অরাজকতা ছড়াতে চায়?নজর রাখুন। সচেতন থাকুন।’
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক বিশেষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে এসে ঋতুপর্ণাকে হেনস্থায় ঘটনায় মন্তব্য করেছেন সেখানকার সাংসদ শতাব্দী রায়। এছাড়াও তিনি শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত আরও নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। তার মতে, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি দেশের মেরুদণ্ড। তাঁর কথায়, 'আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শিক্ষার মান উন্নত হলে সমাজ আরও এগিয়ে যাবে।'
এদিন সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও মুখ খোলেন শতাব্দী রায়। তাঁর কথায়, 'আইন অনুযায়ী যআ হওয়ার হবে।' এক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও মন্তব্য না করে আইনের পথেই তদন্ত এগোনোর কথা বলেন শতাব্দী রায়।