KOLKATA : মাদককাণ্ডে একের পর বিলিউডি নায়িকার নাম জড়ানোয়, পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
বলিউডের ড্রাগ চক্রের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বি টাউনের একাধিক প্রথম সারির তারকার নাম হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের । ইতিমধ্যেই NCB-এর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে সারা আলি খান, রাকুল প্রীত সিং, সিমন খাম্বট্টাকে। শনিবারেই জেরার মুখোমুখি হতে চলেছেন বলি সুন্দরী দীপিকা পাডুকোন। এছাড়াও নাম জড়িয়েছে শ্রদ্ধা কাপুরেরও । স্বাভাবিক ভাবেই একাধিক প্রথম সারির বলি অভিনেত্রীর এই ভাবে মাদক চক্রের সাথে যোগাযোগের সন্ধান মেলায় দেশ জুড়ে জল্পনা অব্যাহত । আর এবার এই ইস্যুতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ।
দাবি করেন এমন ভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরা হচ্ছে যেন বলিউডের মহিলারাই একমাত্র মাদক সেবন করেন | আর পুরুষেরা নির্দোষ | নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিনেত্রী জানান ‘বলিউডে নায়িকারাই শুধু মাদকাসক্ত! পুরুষেরা কী করেন? ঘর পরিষ্কার করেন, রান্না করেন আর জোড়হাতে তাঁদের বউদের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন, ভগবান ওদের রক্ষা কর?’
উল্লেখ্য, মিমিই প্রথম যিনি টলিউডের পক্ষ থেকে এই ভাবে প্রকাশ্যে এন সি বি-র ড্রাগ তদন্তের সমালোচনা করলেন |
আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যাদবপুরের সাংসদ জানান , ‘কোনও মেয়ে যদি কাজের মাধ্যমে ক্ষমতাশালী হয়। সুন্দরী হয়, অভিনেত্রী হয় তাঁকে সবাই দেখতে চাইবে। এখন মাদকযোগে এনসিবি শুধু অভিনেত্রীদের ডেকে পাঠাল? ছেলেরা কি ধোয়া তুলসীপাতা?’
তাঁর মতে, করোনা ভ্যাকসিন কৃষক বিলের মতো দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে, এই ভাবে অভিনেত্রীদের টার্গেট করে মাদক যোগের প্রসঙ্গ নিয়ে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সরকার । ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন , 'বিশেষ কারও পক্ষ নিচ্ছি না, তবে আমি জানি একজন মেয়ে হিসেবে কী করে ধাপে ধাপে লড়াই করে দীপিকাকে উঠতে হয়েছে। ও নিজের বক্তব্যেও বলিষ্ঠ। সেই কারণেই ও পিতৃতন্ত্রের নজরে পড়েছে। ওর এত পরিশ্রম, ইমেজ সব নষ্ট হয়ে যাবে? আমার খুব খারাপ লাগছে।'
তবে যদি বলিউডে সত্যিই মাদকচক্রের রমরমা চলে, তাহলে আইনত যথাযথ তার তদন্ত দাবি করেছেন মিমি। কিন্তু বেছে বেছে এইভাবে অভিনেত্রীদের কাঠগড়ায় তোলার তীব্র বিরোধিতা করেছেন যাদবপুরের সাংসদ। বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন 'সুশান্তের মৃত্যুর পরেই সবাই জানল বলিউডে মাদক ব্যবসা চলে। এর আগে এই বিষয় নিয়ে কই কোনও কথা তো ওঠেনি! কেন?'