মমতার উৎসবে ফেরার মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষের মাঝেই দিদির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দেব। তৃণমূলের তারকা সাংসদ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দিদিতেই আস্থা রয়েছে গোটা বাংলার। শনিবার বৃষ্টি মাথায়, হাতে চোট নিয়ে মমতা জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট দেবের। আরও পড়ুন-'একটা জাস্টিস পাওয়ার জন্য আমি বাংলার মানুষের সঙ্গে অবিচার করতে পারি না', উৎসব বিতর্কে মমতার পাশে দেব
দিদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’-কে কুর্নিশ জানালেন ঘাটালের সাংসদ। সংবাদমাধ্যম মারফত দিদির ধরনামঞ্চে যাওয়ার খবর পৌঁছাতেই দেব টুইট বার্তায় লেখেন, ‘দিদি আপনাকে কুর্নিশ। আগেও আপনাকে দেখেছি আপনি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আজ আবার দেখলাম নিজের লোকের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন। আশা করছি শান্তি, ন্যায় আর সম্মান, সব ফিরে আসুক।’
দেব আগেও স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলার আর সকল মানুষের মতো তিনিও আরজি করের চিকিৎসক তরুণীর বিচার চান। মুখ্যমন্ত্রীও চান দোষীরা শাস্তি পাক। দেব স্পষ্ট করেন, সেই বিচার দেবে সিবিআই, দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে হাজির হন মমতা। জানান, মুখ্যমন্ত্রী নন, আন্দোলনকারীদের ‘দিদি’ হিসেবে তিনি সেখানে হাজির হয়েছে। নিজেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘সহযোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত করলেন। সেইসঙ্গে দাবি করলেন যে শনিবার রাতভর যখন বৃষ্টি হয়েছে, তখন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ভেবে দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি। বৃষ্টির রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা যে কষ্ট পেয়েছেন, সেটা অনুভব করেছেন তিনি নিজেও। যদিও তাঁর সেই ট্রেডমার্ক 'গুণ' কতটা সফল হবে, সেটা সময়ই বলবে। জুনিয়র ডাক্তাররাও ইতিমধ্যে বার্তা দিয়ে রেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে এসেছেন, সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। মমতা তাঁদের কাজে ফিরতে বলেন। জানান, প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিচ্ছেন তিনি।
মমতার বার্তায় সদার্থক প্রতিক্রিয়া মিলেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান যে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বৈঠক করতে ডাকবেন, সেখানেই তাঁরা যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসার কথা বলছেন। সেটাই বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। কিন্তু তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ওদিকে শুক্রবার টেক্কার টিজার লঞ্চে দেব বলেন, ‘উৎসবটা সবার নিজের, কিন্তু প্রতিবাদটা সবার। আমি বলব উৎসবে ফিরছি না আবার নিজের ছবির প্রমোশন করছি, নিজের ইভেন্টগুলো করছি- সেটাও একটা খারাপ বার্তা। ঢাকিদের ৬-৮ মাসের খরচ চলে পুজোর সময়ের উপার্জন দিয়ে। আমরা সরকার বিরোধী হতে পারি, তবে বাংলার মানুষের বিরোধী হতে পারব না, দুটো আলাদা জিনিস। আমি সরকারের বিরোধী হতেই পারি, আজ এই সরকার আছে কাল অন্য সরকার আসবে। কিন্তু একটা জাস্টিস পাওয়ার জন্য আমি বাংলার অন্য মানুষের সঙ্গে অবিচার করতে পারি না। কেউ তো চাকরি বন্ধ করে প্রতিবাদ করছে না। সবাই প্রতিদিন কাজে যাচ্ছে, যেটা তোমাদের কাছে বিনোদন, সেটা আমার কাছে আমার রুজিরোজগার’।