আরজি করের নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। সুবিচার আর সুরক্ষার দাবিতে ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই নিয়েই এবার পাল্টা আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-‘ওঁর নতুন স্বামীই তো..’, সোহিনীকে 'শোভন' খোঁচা, নায়িকা ও 'ননদিনি' দীপ্সিতাকে দুপাশে নিয়ে হাঁটতে চান কল্যাণ
মহালয়ায় চিকিৎসকরা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। উৎসবের মরসুমেও সবার কন্ঠে একটাই স্বর- জাস্টিস অফ আরজি কর। মঙ্গলে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের নাগরিক মিছিলে হাঁটছেন হাজার হাজার মানুষ। বিদ্রোহের আঁচ নেভেনি, ফের প্রমাণিত। বুধবার মহালয়ার দিন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ডাকে মহামিছিল এবং সমাবেশ চলবে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। জুনিয়র ডাক্তারদেরসেই মিছিলে হাঁটবেন সিনিয়ররাও। সোমবার হাইকোর্টের রায়ে ফের মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। স্বভাবতই এই ঘটনায় চাপে মমতা সরকার।
এর মাঝেই ফের বেফাঁস কল্য়াণ। আরজি কর ইস্যুতে এবার কল্যাণের নিশানায় জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পূর্ণ কর্মবিরতি নিয়ে তোপ দাগলেন সাংসদ। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, ‘বাংলাকে শোকস্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, জবাব দিয়ে দুর্গা পুজো হবে’। সাংসদ একজন দুঁদে আইনজীবীও। তিনি এবার ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা লঙঘনের গুরুতর অভিযোগ আনলেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'কেউ চাপ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে তাদের রাস্তায় আনতে পারবে বলে মনে হয় না। ওরা ঘোমটার আড়ালে রাজনীতি করছে, সিপিএম-ডিএসওর লোক আছে। বিচার আমরাও চাই, কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতি অবিচার করে, বিচার হয় না। হাসপাতালে লাইভ স্ট্রিমিং করুক, মানুষ দেখুক ডাক্তাররা কি করছে। দুর্গাপুজো বন্ধ করে রোজগার বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কর্মবিরতি, না কাজ করা, কতটা অধিকারের ব্যাপার, সে নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
শুধু জুনিয়র ডাক্তারদের তুলোধনা করেই চুপ থাকেননি কল্যাণ। তাঁর নিশানাতে টলিপাড়ার প্রতিবাদী মুখেরাও। তিনি বলেন, ‘যারা বলেছিল দুর্গাপুজা করতে হবে না তারা তো ফিতে কাটতে চলে গেছে। কলকাতায় যারা আছে তারা আনন্দ ফুর্তি করবে না! শোকস্তব্ধ হয়ে থাকবে?’ যদিও ব্র্যান্ড প্রোমোশন কিংবা পুজোর ফিতে কাটা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রুজিরোজগারের মধ্যেই পড়ে। তা সত্ত্বেও এই বছর পুজোর সব ধরণের প্রচার কাজ থেকে দূরে রয়েছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সোহিনী সরকারকে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনী প্রচারে অংশ নিতে দেখে ট্রোল করতে ছাড়েনি শাসক দলের নেতা থেকে সমর্থকরা। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও টেক্কার প্রচার করে ট্রোলড হয়েছেন।