এমনিতে তাঁর দলের সঙ্গে কেন্দ্রের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। তবে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদকে বিশেষ সম্মান জানালো মোদী সরকার। সেই সুখবর নিজেই টুইটারের দেওয়ালে শেয়ার করে নিয়েছে মিমি চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফ থেকে সম্মাননা জানানো হয় মিমিকে। মাস কয়েক আগেই ১০ জন যক্ষ্মা রোগীদের দত্তক নিয়েছিলেন এই তারকা সাংসদ। তাঁদের ভরণ-পোষণ ও চিকিৎসার সবরকম দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মিমি, এর জেরেই সম্মানিত অভিনেত্রী।
গত নভেম্বর মাসে ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ভাঙড়ের জিরানগাছা ও নলমুড়ি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পেয়েছিলেন তাঁর দিন কয়েক আগেই। সেখানে গিয়েই টিবি রোগীদের দত্তক নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মিমি। সেইসময়ই প্রশংসা কুড়িয়েছিল মিমির সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে পাওয়া শংসাপত্রের ছবি পোস্ট করেন মিমি। সেখানে ইংরাজিতে লেখা রয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী টিবি মুক্ত ভারত অভিযান’-কে সফল করে তুলতে ‘নি-ক্ষয় মিত্র’ হিসাবে নিজের নাম রেজিস্ট্রার করে টিবি রোগীদের (TB patients) দত্তক নিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা ভারতকে টিবি-মুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে'।
মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিমি লেখেন, ‘আমি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ১০জন যক্ষ্মারোগীকে দত্তক নেওয়ার আমার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানোর জন্য। আমি চাইব আরও মানুষজন এগিয়ে আসুক এই মহান প্রচেষ্টায় অংশ নিতে। আপনার ছোট্ট প্রয়াস অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে'।
এমনিতে মোদী সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েন না মিমি। তবে ভারত সরকারের তরফে এই সম্মান পেয়ে গর্বিত নায়িকা। গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর, ‘প্রধানমন্ত্রী যক্ষ্মামুক্ত ভারত অভিযান’-এর অধীনে মোট ১.৭৮ লক্ষেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়ে। কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশে যক্ষ্মা রোগীর হার বৃদ্ধি পেয়েছে মারাত্মক হারে। ১০ জন টিবি রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি দ্রুত শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যুক্ত খাবার ও যাবতীয় ব্যবস্থার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন মিমি।