নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুযুধান বিজেপি–তৃণমূল। কে কত বড় সুভাষ–ভক্ত তা প্রমাণ করতে ভোটের আগে মুখোমুখি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রতিবাদী মমতা বক্তব্য রাখতেই অস্বীকার করেন।
মমতার সুরে সুর মেলালেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তিনিও টুইটারে কড়া বার্তা দেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তিনি টুইটের শুরু হিন্দিতে লেখেন- আলিঙ্গন করে রামের নাম নিন, গলা টিপে ধরে রাম নাম কীসের? এরপর নুসরত যোগ করেন, 'স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান উচ্চারণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি'। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে যোগ করেন ‘সেভ বেঙ্গল ফ্রম বিজেপি’ (#SaveBengalFromBJP) এবং লজ্জা (#Shame)।
ঘটনার সূত্রপাত কোথায়?
শনিবার ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠান মঞ্চে সবে বক্তব্য শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, পরের বক্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। তখনই আচমকা সভায় উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকে উঠে এল ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য রাখতে অস্বীকার কেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দেন,'কাউকে আমন্ত্রণ করে তাঁকে অসম্মান করা শোভা দেয় না'। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, সরকারি অনুষ্ঠানের একটা আলাদাই মর্যাদা, সম্ভ্রম থাকে। এটা সরকারি অনুষ্ঠান। কোনও রাজনৈতিক দলের সভা নয়। এটা সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের অনুষ্ঠান।’
শেষে ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’ বলে নিজের আসনে গিয়ে বসেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই আকস্মিক ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যরা। গোটা ঘটনায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার শেষ নেই। বিরোধী শিবির আক্রমণ শানিয়েছে মমতাকে, রামের ধ্বনি নিয়ে বিরূপ মনোভাব পোষণ করায়। তবে স্লোগান বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস।