হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছোট পর্দার অতি পরিচিত মুখ। তাঁকে একাধিক সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। প্রতিবারই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁকে অন্যান্য টলিউড তারকাদের সঙ্গে ডিকেহা যায়। এবারও গিয়েছে। কিন্তু এদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁর স্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। আর এই বিষয় নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুলল TMC -এর সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: পানিপুরি নাকি ফুচকা, কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে জোর তর্ক সোনু-শ্রেয়ার! অমিতাভের ভোট গেল কোন দিকে?
কী ঘটেছে?
গোটা বাংলাই এখন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল। যদিও আন্দোলনের আঁচ খানিকটা হলেও কমেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন কর্মবিরতি কাটিয়ে। এমন অবস্থায় অভিনেতা হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায় যাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক বলেই জানেন সকলে তাঁর স্ত্রী অর্পিতা তিওয়ারি চট্টোপাধ্যায় বরের একেবারে বিপরীত সুর গেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করছেন। তিনি কুণাল ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করেছেন। আর এ সবই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে চোখ রাখলেই দেখা যাবে। আর এই জিনিস নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।
এদিন এক সমর্থক সোজাসুজি একটি পোস্ট করে আক্রমণ শানান অভিনেতাকে। প্রশ্ন তোলেন তাঁকে কেন রাখা হয় ২১ এর মঞ্চে? তিনি না থাকলে কী ভোট কমে যাবে? সেই ব্যক্তি লেখেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের এই বছরের ২১ শে জুলাই মঞ্চে অভিনেতা হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এদিকে তার স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম রাজ্য সরকার বিরোধী পোস্ট করেই চলেছেন। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সকল কর্মী ও সমর্থকদের বলছি, প্রশ্ন করুন দলকে, এই সব লোক কি করে শহীদ দিবসের মঞ্চে জায়গা পায়? সরকার বিরোধী পোস্ট করাটা হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীয়ের গণতান্ত্রিক অধিকারের অধীনে পড়ে। সেই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমার বক্তব্য হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ওই লোকটা মঞ্চে না থাকলে কি আমাদের ভোট কমে যাবে?।'
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'লাভ নেই। এটাই ওদের চালাকি। সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলা। ইন্টেলিকচুয়াল আলোচনা শুনে নিজেকেও তো ইন্টেলিকচুয়াল তকমায় রাখতে হবে তো। প্রশ্ন করলে একটিও কথা বেরোবে না।' আরেকজন লেখেন, 'আচ্ছা তার মানে চোরকে চোর বলা যাবে না।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'সত্যিই বাবা কী দিনকাল পড়ল।'