সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সাংসদ পদে শপথ নিচ্ছেন দেশের নানান প্রান্ত থেকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। সোমবার লোকসভার প্রথম পা রাখলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ, হুগলির ‘দিদি নম্বর ১’ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে শুরু করে জুন মালিয়ারা।
প্রথম দিন সংসদে ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া গেল মমতার প্রমিলা ব্রিগেডকে। মধ্যমণি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে সেলফি মুডে তৃণমূলের নারী-বাহিনী। প্রথম দিন একটু ফটোসেশন না হলে চলে? মেদিনীপুরের সাংসদ জুনের সেলফিতে কখনও ধরা দিলেন সকলে, কখনও আবার ক্যামেরাম্যান স্বয়ং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে জুন-রচনারা পোজ দিলেন, আর খিচিক করে ছবি তুললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে প্রথমদিন পশ্চিমী পোশাকে সংসদে পা রেখে তুমুল শোরগোল ফেলেছিলেন নুসরত-মিমি। এবার অবশ্য তেমনটা ঘটল না। নিপাট বাঙালি সাজেই সংসদে হাজির সায়নী-জুনরা। আইভরি শাড়ি আর লাল ব্লাউজে ঝলমলে জুন। এদিন নীল রঙা তাঁতের শাড়িতে দেখা মিলল যাদবপুরের সাংসদকে। প্রচারে যেমন লুকে ধরা দিয়েছিলেন রচনা, তেমনই ফুলস্লিভস ডোরা কাটা সবুজ ব্লাউজ আর শ্যাওলা-সবুজ শাড়িতে দ্যুতি ছড়ালেন দিদি নম্বর ১।
পার্লামেন্টে পা রেখেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন সায়নী। সঙ্গে মা-মাটি-মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞা জানালেন। প্রথম দিন সংসদ ভবনে পা রেখে তেমন অনুভূতি? যাদবপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ বললেন, 'আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বাঘিনী আমাদের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য ভীষণ বড় একটা ব্যাপার’।
জুন জানান, ‘প্রথম দিন, আমরা সবাই ভীষণ উত্তেজিত। আগামী ৫ বছর সুন্দর হবে এই আশাই করছি’। এদিন সংবিধান হাতেই পার্লামেন্টে সায়নী। তাঁর শপথ ‘প্রথম দিন থেকেই আমরা ‘টোন’ সেট করতে চাইছি। কোনও রকম স্বৈরাচারীতা চলবে না।’
সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, ফের কৃষ্ণনগর বাসী মহুয়া মৈত্রকেই জনপ্রতিনিধি হিসাবে সাংসদে পাঠিয়েছেন। এদিন কমলা-গোলাপি কম্বিনেশনের পিওর সিল্ক শাড়িতে ধরা দিলেন মহুয়া। গলায় মুক্তোর হার, ম্যাচিং কানের। মুখে জয়ের হাসি এখনও লেগে রয়েছে। এদিন জাতীয় মিডিয়ার সারি সারি ক্যামেরা তাক করেছিল তাঁর দিকে।
সংবিধান হাতে হাসিমুখে পোজ দিলেন মহুয়া। শোনা যাচ্ছে, এদিন নাকি বর্ষীয়ান নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের তিন মহিলা সাংসদ, শর্মিলা সরকার, মিতালি বাগ ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই মধ্যহ্নভোজ সারেন। তবে কল্যাণ অবশ্য বলছেন, লাঞ্চ নয়, একটু কফি খেয়েছেন!