সেনার দখলে বাংলাদেশ! প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা। সেনা প্রধান সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, ‘সব হত্যার বিচার হবে। জনগণকে বলব, ধ্বংসলীলা এখনই বন্ধ করুন। আর কিছু পাওয়ার নেই’। অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করে আপাতত দেশ চালাবে সেনাবাহিনী, জানালেন সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এপার বাংলার মানুষজনও। দেব থেকে স্বস্তিকা বহু টলিউড তারকাই বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন টলিউড সুপারস্টার জিৎ। কলকাতার পাশাপাশি ঢাকা-খুলনা, গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জিতের ভক্ত। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে জিৎ লেখেন, ‘বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক’।
টলিউডের সুলতান আরও লেখেন, ‘আশা করি এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাবো। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক। শান্তি বজায় থাকুক’।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান। বিএনপি, জামাতের মতো দলগুলোর যোগ দিয়েছিল বৈঠকে, আওয়ামী লিগের কেউ ছিল না তা স্পষ্ট করেন সেনা প্রধান। আন্দোলনকারীদের থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান সেনা প্রধান। তিনি বৈঠক করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তাঁর আশা, অধ্যাপকের কথায় ছাত্ররা আন্দোলনের পথ থেকে ফিরে আসবে।
বাংলাদেশের ধোঁয়াশা আবৃত ভবিষ্যত খানিকটা হলেও কাটল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ছাত্র খুনী’ তকমা দিয়ে যে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে জানতা তা অবিলম্বে থামানোর আবেদন করেছেন সেনা প্রধান।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলতেই জিৎ-কে তুলোধনা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন লেখেন, ‘আগে নিজের বাংলাটাকে নিয়ে দু একটা কথা বলুন। যেভাবে দুর্নীতি করে শাসক গোটা শিক্ষিত যুব সমাজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নিজের শিরদাঁড়া সোজা রাখুন।’ আরেকজন লেখেন, ‘যখন বাংলাদেশিরা ভারতীয়দের গালিগালাজ করে তখন মনে থাকে না?’
এর আগে টলিউড তারকা তথা তৃণমূল সাংসদ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি লেখেন, ‘আমার চোখে অন্যতম শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র, ভালোবাসার দেশ বাংলাদেশ… আমার মন কাঁদছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য। প্রার্থনা করছি দ্রুত শান্তি ফিরুক। শুধু আমি নই, গোটা ভারত প্রার্থনা করছে বাংলাদেশের জন্য’।